ঈদের শুভেচ্ছা বার্তায় উঠে এল অগ্রণী ব্যাংকের সার্ভার ভোগান্তি

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্যাংকের সব ধরনের কর্মকর্তা-কর্মচারীর উদ্দেশে চিঠি দিয়েছেন রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম। এতে তিনি ব্যাংকের সার্ভার সমস্যার কারণে যে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়, তা তুলে ধরেছেন। বলেছেন, বিদেশি পরামর্শকদের সহায়তায় সমস্যার সুরাহা হয়েছে।

অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতি এক চিঠিতে বলেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ন্যূনতম সেবা না পেয়ে চরম বিরক্ত হয়ে গ্রাহকেরা গালাগাল ও কটূক্তি করছেন।

এর আগে অগ্রণী ব্যাংকের অফিসার সমিতি গত ৯ মে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান জায়েদ বখতকে জরুরিভিত্তিতে সফটওয়্যারের অস্বাভাবিক ধীরগতি দূর করার আবেদন জানিয়ে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, টি-২৪ সফটওয়্যারের সমস্যার কারণে ব্যাংকের শাখা পর্যায়ে লেনদেন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ন্যূনতম সেবা না পেয়ে চরম বিরক্ত হয়ে গ্রাহকেরা গালাগাল ও কটূক্তি করছেন।

আরও পড়ুন
এর আগে অগ্রণী ব্যাংকের অফিসার সমিতি গত ৯ মে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান জায়েদ বখতকে জরুরিভিত্তিতে সফটওয়্যারের অস্বাভাবিক ধীরগতি দূর করার আবেদন জানিয়ে চিঠি দেয়।

বিশ্বখ্যাত টেমোনাসের সফটওয়্যার দেশের আরও অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করলেও তাদের ক্ষেত্রে এমন বিপর্যয় হচ্ছে না বলে সমিতির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। চিঠিতে এও বলা হয়, অগ্রণী ব্যাংকে অনেক আগে থেকে এ সংকট দেখা দিয়েছে। এখন চরম অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

ঈদের শুভেচ্ছাবার্তায় অগ্রণীর এমডি লিখেছেন, আগে যেখানে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ১ লাখ লেনদেন হতো, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত কয়েক দিন ধরে সেখানে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ লাখ লেনদেন হচ্ছে।

এদিকে, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে পাঠানো ঈদের শুভেচ্ছাবার্তায় অগ্রণীর এমডি লিখেছেন, আগে যেখানে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ১ লাখ লেনদেন হতো, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত কয়েক দিন ধরে সেখানে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ লাখ লেনদেন হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যাংকিং লেনদেনের সময় কমে যাওয়ায় অল্প সময়ে অধিক লেনদেন করতে হচ্ছে। এতে অন্যান্য ব্যাংকের মতো আমাদের ব্যাংকেও চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিকূল পরিবেশে ধৈর্য ধারণ করে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান এমডি।

চিঠিতে এমডি আরও লিখেছেন,পুরোনো সার্ভারের ধীরগতির ফলে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের আইসিটি বিভাগের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চলছে। সিঙ্গাপুর, হংকং, তাইওয়ান ও চেন্নাই থেকে সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর পরামর্শ বাস্তবায়ন করার ফলে কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়। প্রতিকূল পরিবেশে ধৈর্য ধারণ করে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান এমডি। শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি ব্যাংকের বিভিন্ন অর্জন ও সাফল্যের চিত্রও তুলে ধরেন।