এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে দেশজুড়ে ৫০ হাজার কর্মসংস্থান

এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় প্রতিটি আউটলেটে গড়ে তিনজন সেবা প্রদান করছেন। তাঁদের সবাই স্থানীয়ভাবে নিয়োগ পাওয়া কর্মী। এর বাইরে ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা এজেন্টদের তদারকি করে থাকেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বড় ভূমিকা রাখছে নতুন এই ব্যাংকিং সেবা।

দেশে গত সাত বছরে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিটি আউটলেটে তিনজন করে কর্মী কাজ করছেন। ফলে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় প্রায় ৫০ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে।

চাকরির বাজারে ব্যাংকিং পেশা এখনো বেশ আকর্ষণীয়। তবে ব্যাংকের চাকরি পেতে যে ধরনের যোগ্যতা প্রয়োজন, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ততটা লাগে না। আর এসব কর্মীকে এজেন্টরাই বেতন দেয়, সেহেতু তা পরিমাণে অনেক কমই হয়ে থাকে। অবশ্য এসব কর্মীর সর্বনিম্ন বেতন কত হবে, তা অনেক ব্যাংক নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে। বাড়ির পাশের এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটই হচ্ছে এসব কর্মীর অফিস।

বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এজেন্ট নিয়োগে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তখন এজেন্টরা সেবা দেওয়ার জন্য কর্মী নিয়োগ করে। তবে কাদের নিয়োগ দিচ্ছে, ব্যাংক তা তদারকি করে। এসব কর্মীকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাঁরা ব্যাংকের কর্মী না হলেও নিয়মিত যোগাযোগের ফলে স্থায়ী কর্মীর মতো দক্ষ হয়ে ওঠেন।

জানতে চাইলে ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এজেন্ট ব্যাংকিং শুধু আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নয়, কর্মসংস্থানেও বড় ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশে ২০১৪ সাল থেকে ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দেওয়া শুরু করে। এখন দেশের ২৪টি ব্যাংক এই সেবা দিচ্ছে। পাড়া-মহল্লা ও হাটে-বাজারে মিলছে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা। বিদায়ী ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এজেন্টের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার ১৬৩, যা ডিসেম্বরের শেষে ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। মার্চে এই সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ২৬০। আর সেপ্টেম্বরে আউটলেট বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ হাজার ১৬টিতে, যা মার্চে ছিল ১১ হাজার ৮৭৫টি। অর্থাৎ করোনার মধ্যে ছয় মাসে আউটলেট বেড়েছে ২ হাজার ১৪১টি।