এসএমই ঋণ বাড়াতে আরও ছাড়

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপ, সতর্কতা, ঋণ নিশ্চয়তা স্কিম (ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম) গঠনসহ নানা উদ্যোগের পরও কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতে প্রণোদনার ঋণ বিতরণে গতি আসছে না। করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সিএমএসএমই খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। এ ঋণ বিতরণের শেষ সময় আগামী শনিবার পর্যন্ত। তবে এখন পর্যন্ত এ তহবিল থেকে বিতরণ হয়েছে ৭ হাজার কোটি টাকার কম।

এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, প্রণোদনা ঋণের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যবসা উপখাতে বিতরণ করা যাবে। আগে এই খাতে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ঋণ দেওয়া যেত। এখন উপখাতে ঋণ বাড়ানোর মাধ্যমে ঋণ বিতরণে গতি আনতে চায় সংস্থাটি। পাশাপাশি ঋণ বিতরণের সময় বাড়িয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) চলতি মূলধন সুবিধার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা তহবিল গঠন করা হয়। এ ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ, তবে গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে ৪ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দিচ্ছে।

এ–সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সিএমএসএমই খাতের মধ্যে শিল্প ও সেবা উপখাতে উল্লেখযোগ্য ঋণ বিতরণ হলেও ব্যবসা উপখাতে খুব বেশি ঋণ বিতরণ হয়নি। এ কারণে ব্যবসা উপখাতে বাৎসরিক ঋণ ২০ শতাংশের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) চলতি মূলধন সুবিধার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা তহবিল গঠন করা হয়। এ ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ, তবে গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে ৪ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দিচ্ছে। ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোক্তারা যাতে ঋণ পান, সে জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ১০ হাজার কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়ন তহবিলও গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপরও ঋণ পাচ্ছেন না ছোট উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, ব্যাংকগুলো এই ঋণ বিতরণে যে সুবিধা চেয়েছে, তার প্রায় সবই দেওয়া হয়েছে। এরপরও ঋণ বিতরণে আগ্রহ দেখাচ্ছে না তারা। তবে ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, সুদহার ৯ শতাংশ নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় ঋণ বিতরণে গতি আসছে না।