করোনার টিকা দিতে আর্থিক খাতের কর্মীদের তালিকা হচ্ছে

করোনাভাইরাসের টিকা দিতে আর্থিক খাতের কর্মীদের তালিকা প্রস্তুত শুরু হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে ব্যাংক-বিমা কর্মকর্তা, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় এই তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছে।

এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকার জাতীয় টিকা প্রয়োগ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রথম ধাপে সংগৃহীত তিন কোটি টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেড় কোটি প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রদান করা হবে।
এ জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাংককর্মীদের তালিকা পেতে গভর্নরকে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় এই তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছে। সংগৃহীত তিন কোটি টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেড় কোটি প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রদান করা হবে।

এদিকে এই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার কর্তৃক প্রস্তুতকৃত অগ্রাধিকারভুক্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাখা হয়েছে। টিকা প্রাপ্তির লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত ছকে ব্যাংক কর্মীদের তালিকা প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।

গত বৃহস্পতিবার উপহার হিসেবে ২০ লাখ করোনার টিকা আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয় ভারত। ভারত উপহার হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ও দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউট প্রস্তুতকৃত টিকা বাংলাদেশকে দেয়।

উপহারের টিকার বাইরে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মার চুক্তি রয়েছে। ভারতের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী কোভিড-১৯-এর টিকা ‘কোভিশিল্ড’-এর প্রথম চালান শিগগিরই পাচ্ছে বাংলাদেশ। ভারত গতকাল শুক্রবার বাণিজ্যিকভাবে টিকা রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে।