দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে গত মাসে

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা মে মাসে ২১৭ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলার বা  প্রায় ১৮ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছেন। এক মাসে এত আয় আসার ঘটনা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটেছে। এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেও ঈদকে কেন্দ্র করে গত মাসে ভালো আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত বছরের মে মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। সেই হিসাবে আগের বছরের চেয়ে গত মে মাসে ৬৭ কোটি ডলার বেশি প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল দিন শেষে রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৫০৪ কোটি ডলার।

গত মাসে ২১৭ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৮ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছেন বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা।

বেশি প্রবাসী আয় আসে, এমন ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে একধরনের মন্দাভাব চললেও বিদেশ থেকে প্রবাসীরা ভালো আয় পাঠাচ্ছেন। কারণ, প্রবাসীদের বেশির ভাগই দেশে পরিবার-পরিজন রেখে যান। তাই তাঁরা বিদেশে যা আয় করেন, তার সবই দেশে পাঠিয়ে দেন। এই কারণে দেশে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে।
অনেক ব্যাংকার বলছেন, ঈদের সময়টাতে বিদেশ থেকে জাকাতের টাকা এসেছে। আবার কেউ কেউ অনুদানও পাঠিয়েছেন। এই কারণে ঈদের আগে ও পরে ভালো আয় এসেছে। প্রবাসী আয় বিতরণে এখন ব্যাপকভাবে এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে বিদেশ থেকে দেশে আসা অর্থ বিতরণ আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। আবার করোনার কারণে বিদেশে যাতায়াত সীমিত হয়ে পড়ায় বৈধ পথেই এখন বেশি আয় আসছে।

প্রবাসীরা যাতে বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠাতে উৎসাহিত হন, সে জন্য সরকার ২ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। এতে বৈধ পথে আয় আসা আগের চেয়ে বেড়েছে। আবার সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ব্যাংক নিজেরা প্রবাসী আয়ে বাড়তি ১ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে।

তবে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রবাসীরা যাতে বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠাতে উৎসাহিত হন, সে জন্য সরকার ২ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। এতে বৈধ পথে আয় আসা আগের চেয়ে বেড়েছে। আবার সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ব্যাংক নিজেরা প্রবাসী আয়ে বাড়তি ১ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। আবার ঈদের আগে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকার বেশি প্রবাসী আয় এলে সরকারি ২ শতাংশের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে বলে মনে করছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

অনেক ব্যাংকার বলছেন, ঈদের সময়টাতে বিদেশ থেকে জাকাতের টাকা এসেছে। আবার কেউ কেউ অনুদানও পাঠিয়েছেন। এই কারণে ঈদের আগে ও পরে ভালো আয় এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার আয় পাঠান প্রবাসীরা। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার।