নগদের মালিকানা নির্ধারণে সভা আজ

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’

মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘নগদ’ ডাক অধিদপ্তরের হলেও মালিকানায় ডাক অধিদপ্তরের কোনো অংশগ্রহণ নেই। আয়ের ভাগ নেওয়া ছাড়া ডাক অধিদপ্তরের হাতে নগদের কোনো নিয়ন্ত্রণও নেই। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনপ্রাপ্ত (লাইসেন্স) না হওয়ায়, তদারকিরও বাইরে রয়ে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে নগদের ভাগ্য নির্ধারণে আজ মঙ্গলবার আবার আন্তমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এই সভায় ডাক অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, যৌথ মূলধন কোম্পানি, ফার্মগুলোর পরিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।

সভায় মূলত দুটি বিষয়ে আলোচনা হবে। প্রথমটি হলো, নগদ পরিচালনায় নতুন করে ‘নগদ সার্ভিসেস পিএলসি’ নামে পৃথক কোম্পানি গঠন করা। আরেকটি হলো, এর মালিকানার ৫১ শতাংশ থাকবে ডাক অধিদপ্তরের অধীনে ও ৪৯ শতাংশ বেসরকারি উদ্যোক্তাদের হাতে।

এর আগেও নগদের মালিকানা নির্ধারণ নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, আজকের সভায় নগদের মালিকানা নির্ধারণসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

জানা গেছে, আজ বেলা ১১টায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে অনুষ্ঠেয় সভায় নগদের মালিকানা নির্ধারণের বিষয়ে অগ্রগতি ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া নগদকে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বা এমএফএস হিসেবে অনুমোদন দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া শর্ত নিয়েও আলোচনা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শর্ত দিয়েছে, নগদ গ্রাহকের জমার বিপরীতে যে ঋণ নিয়েছে, তা সমন্বয় করতে হবে।

সূত্র জানায়, গ্রাহকের ওয়ালেটে থাকা টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রেখেছে নগদ। এর বিপরীতে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়। ঋণের স্থিতি এখন ৩২৮ কোটি টাকা। যদিও গ্রাহকের টাকা খরচ করার বা এর বিপরীতে ঋণ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে সম্প্রতি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জ শপের বিরুদ্ধে ৪৭ কোটি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছে নগদ।