নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিনিয়োগের নতুন উৎস

উন্নয়নের অর্থ পেতে বাংলাদেশের আরেকটি উৎস তৈরি হলো। বিশ্ব অর্থনীতির উদীয়মান মোড়লদের নেতৃত্বে গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) নতুন সদস্য এখন বাংলাদেশ। গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উরুগুয়ে—এই তিন দেশের সদস্যপদ অনুমোদন করেছে এনডিবি। ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ওই ব্যাংকে নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে। এখন থেকে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) অন্য ব্যাংকের মতো এনডিবির কাছ থেকে উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ নিতে পারবে বাংলাদেশ।

বিশ্বের উদীয়মান শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে একসঙ্গে বলা হয় ব্রিকস জোট। এই জোটের ব্যাংক নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)। গত ২০ আগস্ট ব্রিকস জোটের ওই চারটি দেশের বাইরে এই প্রথম তিনটি দেশকে (বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উরুগুয়ে) সদস্য হিসেবে অনুমোদন দেয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। ২ সেপ্টেম্বর এনডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য দেওয়া হয়। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর ব্রাজিল সরকারের কাছে ইন্সট্রুমেন্ট অব একসেশন দাখিল করে ব্যাংকে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে ব্রিকস জোটের এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার ছয় বছরের মাথায় জোটের বাইরে সদস্য নেওয়া হলো।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, এসব বড় উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া নিঃসন্দেহে দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার পরিচায়ক। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ। বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্পে ভারত, চীন ও রাশিয়া বিনিয়োগ করছে। বাণিজ্যিক সম্পর্কও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব কারণে এনডিবি ব্যাংকে যোগদান করেছে বাংলাদেশ।

সেলিম রায়হান আশা করেন, বিশ্বব্যাংক, এডিবির অর্থায়নের প্রকল্পে সুশাসনের বিষয়টি যেভাবে নজরদারিতে থাকে, এনডিবির অর্থায়নের প্রকল্পেও এমন নজরদারি ও স্বচ্ছতা থাকবে।

নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এ পর্যন্ত ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামো এবং নগর উন্নয়নসংক্রান্ত ৮০টি প্রকল্পে প্রায় ৩ হাজার কোটি ডলার ঋণসহায়তা দিয়েছে।