ন্যাশনাল ব্যাংকের আলোচিত ইসি সভা হচ্ছে না

ন্যাশনাল ব্যাংক

ন্যাশনাল ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ডাকা সভা হচ্ছে না। বিভিন্ন ঋণ অনিয়ম ও মেয়াদ শেষের পরও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্বে থাকা নিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তড়িঘড়ি নির্বাহী কমিটির সভা ডেকেছিলেন ব্যাংকটির নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও সাংসদ পারভীন হক সিকদার, যা আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ সভার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককেও জানানো হয়েছিল। তবে গতকাল হঠাৎ করেই সেই সভা বাতিল করা হয়েছে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার গত ১০ ফেব্রুয়ারি মারা যান। ২৪ ফেব্রুয়ারি নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার। ২৬ ডিসেম্বরের পর কোনো পর্ষদ সভায় ঋণ অনুমোদন না হলেও বিতরণ ঠিকই অব্যাহত আছে। এ ছাড়া প্রায় এক বছর ধরে নির্বাহী কমিটির সভাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। ফলে ব্যাংকটির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যাংকটির বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদক্ষেপ নিলে পারভীন হক সিকদার জরুরি ভিত্তিতে নির্বাহী কমিটির সভা ডাকার জন্য চিঠি দেন।

আরও পড়ুন

গত মঙ্গলবার পারভীন হক সিকদার ব্যাংকটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আবদুল বারিকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি ও প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী ব্যাংকটির বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে অনলাইনে নির্বাহী কমিটির সভা ডাকার নির্দেশ দিচ্ছি। সভা আয়োজনে কোনোভাবে ব্যর্থ হওয়া যাবে না।’ একই সঙ্গে যেসব অভিযোগ এসেছে এবং জানুয়ারির পর অনুমোদন ছাড়া যেসব ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিতে ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পারভীন হক সিকদার। প্রসঙ্গত, শাহ সৈয়দ আবদুল বারির মেয়াদও গত ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়ে গেছে। এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটি আগামী সোমবার নির্বাহী কমিটির সভা হবে, জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রতিনিধি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ও নির্বাহী কমিটির সভায় যোগ দেন। তবে গতকাল হঠাৎ করে জানায়, সেই সভা বাতিল করা হয়েছে।

চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর মূলত তাঁর ছেলেরা ব্যাংকটি পরিচালনা করছেন। বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন ব্যাংকটির কিছু শীর্ষ কর্মকর্তাও। উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ব্যাংক দেশের প্রথম প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক, যার ঋণের পরিমাণ ৪২ হাজার কোটি টাকার বেশি।

আরও পড়ুন