পর্ষদে আলোচনা ছাড়াই পরিচালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত

ন্যাশনাল ব্যাংক

পরিচালনা পর্ষদের সভায় আলোচনা না করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুরশিদ কুলী খানকে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিতে চেয়েছিল ন্যাশনাল ব্যাংক। সে জন্য আলোচনা না করেও বিষয়টি পর্ষদ সভার কার্যবিবরণীতে যুক্ত করা হয়। এখন এ বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি মুরশিদ কুলী খানের নিয়োগও আটকে আছে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কার্যবিবরণী পর্যালোচনা করে ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আরও বেশ কিছু অসংগতির কথার তুলে ধরেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পর্ষদের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত না করে ও পর্ষদ সভায় আলোচনা ছাড়া মুরশিদ কুলী খানকে তিন বছরের জন্য স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগসংক্রান্ত স্মারকটি কার্যবিবরণীতে যুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

চিঠিতে আরও বেশ কিছু বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে আছে এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের নতুন অধিগ্রহণ করা ঋণসহ বিদ্যমান বকেয়া ঋণ আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণসংক্রান্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, পর্ষদে যা আলোচনা হবে, তা-ই কার্যবিবরণীতে আসবে, এটাই নিয়ম। এর ব্যত্যয় হওয়ায় ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।