প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যাংকগুলো ৩০ জুন পর্যন্ত সময় পাচ্ছে

বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন বা ব্যালেন্স শিট চূড়ান্ত করতে এবারও ৩০ জুন পর্যন্ত সময় পাচ্ছে ব্যাংকগুলো। প্রতিবেদন তৈরির সময় বৃদ্ধির সুপারিশ জানিয়ে ২২ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

যোগাযোগ করলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। ফলে বিষয়টিকে আমরা ইতিবাচকভাবেই দেখছি। ব্যাংকগুলোকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া যেতে পারে।’

ব্যাংক কোম্পানি অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বছর শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিল করতে হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বিবরণী দাখিলের সময়সীমা অনধিক দুই মাস পর্যন্ত বাড়াতে পারে। ব্যাংক কোম্পানি আইনের এ ধারার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজে আর এপ্রিলের পরে সময় বাড়াতে পারে না। ৩০ এপ্রিল আসতে আর চার দিন বাকি থাকলেও ব্যাংকগুলো প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠিতে বলেছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০ এপ্রিল সীমিত আকারে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলেছে। ব্যাংকগুলো সে অনুযায়ীই পরিচালিত হচ্ছে। সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে অধিকাংশ ব্যাংকের পক্ষে বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিল করা সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলেছে, প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ব্যাংকগুলোকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

আজ সোমবার বা আগামীকাল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সম্মতিসূচক চিঠি পাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করবে। এতে ২০২০ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন এপ্রিলের মধ্যে দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সূত্রগুলো জানায়, একটি ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক, নিরীক্ষক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অনুমোদন প্রয়োজন হয়, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকও অনুষ্ঠিত হতে হয়। করোনার কারণে বেশির ভাগ ব্যাংকের তা হয়নি। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রমও শেষ হয়নি।