ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকে সাবেক ৩ এমডি বাদ

পরিচালক পদ থেকে বাদ পড়া তিন সাবেক এমডি হলেন এবি ব্যাংকের কায়জার এ চৌধুরী, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের নাজমুস সালেহীন ও ওয়ান ব্যাংকের সৈয়দ নুরুল আমিন।

অবসর নেওয়ার পর একই ব্যাংকে স্বতন্ত্র পরিচালক হওয়া তিনজন সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) বাংলাদেশ ব্যাংক সরিয়ে দিয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন পরিপালন করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকই এসব সাবেক এমডির পরিচালক হওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল।

পরিচালক পদ থেকে বাদ পড়া তিন সাবেক এমডি হলেন এবি ব্যাংকের কায়জার এ চৌধুরী, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের নাজমুস সালেহীন ও ওয়ান ব্যাংকের সৈয়দ নুরুল আমিন। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ব্যাংকগুলোকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোও তা পরিপালন করতে শুরু করেছে।

এদিকে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে পূবালী ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, অন্য কেউ একইভাবে পরিচালক হয়ে থাকলে বাদ পড়বেন। আইনের সব ধারা পরিপালনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে।

আগে অনেক এমডিই যে ব্যাংক থেকে অবসর নিতেন, সেটিতেই উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিতেন। এতে বাদ সাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি তখন জানিয়ে দেয়, দুই বছরের মধ্যে একই ব্যাংকে উপদেষ্টা হওয়া যাবে না। এরপর থেকে ব্যাংকগুলো তাদের অবসর নেওয়া এমডিদের স্বতন্ত্র পরিচালক বানিয়ে পরিচালনা পর্ষদে আনতে শুরু করে।

তবে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৫(৯) ধারার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, স্বতন্ত্র পরিচালক বলতে এমন ব্যক্তিকে বোঝাবে, যিনি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা এবং শেয়ার ধারক থেকে স্বাধীন। তিনি কেবল ব্যাংকের স্বার্থে নিজের মতামত প্রদান করবেন এবং ব্যাংকের সঙ্গে বা ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যাঁর অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যৎ কোনো প্রকৃত স্বার্থ কিংবা দৃশ্যমান স্বার্থের বিষয় জড়িত নেই।


যোগাযোগ করা হলে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ও সাবেক এমডি নাজমুস সালেহীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মেয়াদ আরও কিছুদিন বাকি ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আপত্তি করায় সরে এসেছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকই আমাকে পরিচালক হওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল।’


বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আইনে বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও এ নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। এ জন্য এমডিদের স্বতন্ত্র পরিচালক হওয়ায় বাধা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আইনি ব্যাখ্যা পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।
যেসব ব্যাংক শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত, সেগুলোতে পরিচালক নিয়োগ দেন শেয়ারহোল্ডাররা। বর্তমানে একজন পরিচালক তিন বছর করে টানা তিন মেয়াদ পরিচালক হওয়ার সুযোগ পান। স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো, নিঃস্বার্থভাবে ভূমিকা রাখা।


স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগই ব্যাংকের কোনো না কোনো পরিচালকের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কিংবা আত্মীয়স্বজন বা আইনজীবী অথবা ঘনিষ্ঠজন। এটি ব্যাংকমালিকদের একটি কৌশল।