ভল্টের টাকার গরমিলের তদন্ত শেষ হয়নি

বেসরকারি খাতের ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সংলগ্ন গুলশান শাখার ভল্টে ১৯ কোটি টাকা নিয়ে যে গরমিল ধরা পড়েছে, তার প্রকৃত রহস্য এখনো বের হয়নি।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টি তদন্তে ইউনিয়ন ব্যাংককে দায়িত্ব দিয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ভল্টের সিসিটিভির ফুটেজই সংগ্রহ করা হয়নি। ঘটনা তদন্তে ইউনিয়ন ব্যাংক আরও ১০ দিন সময় চেয়েছে। এই ঘটনায় ইউনিয়ন ব্যাংক এখন পর্যন্ত ওই শাখার তিনজন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা গত ২০ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখা পরিদর্শনে গিয়ে ভল্ট খুলে টাকা গুনে বড় গরমিল দেখতে পান। শাখাটির নথিপত্রে ভল্টে ৩১ কোটি টাকা থাকার কথা বলা হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা পেয়েছেন ১২ কোটি টাকা। বাকি ১৯ কোটি টাকার ঘাটতি সম্পর্কে শাখাটির কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দলকে সঠিক জবাব দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ের পরে ভিআইপি গ্রাহককে ভল্ট থেকে টাকা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্টে টাকা গরমিলের ঘটনা আমাদের পরিদর্শনে ধরা পড়লে ব্যাংকটি প্রাথমিকভাবে একটি জবাব দিয়েছে। সেখানে তারা নতুন করে কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিষয়টি উদ্‌ঘাটনের কথা বলেছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে না।’