মুঠোফোনেই বিল শোধ

সূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংক

পকেট যখন শূন্য, তখন ক্রেডিট কার্ড হয়ে উঠছে আধুনিক নাগরিকদের কাছে নগদ টাকা। চাহিদামতো খরচ করছেন। দৈনন্দিন কেনাকাটা থেকে শুরু করে বিমানের টিকিট ক্রয়, দেশে ও বিদেশে হোটেল–রেস্তোরাঁর বিল পরিশোধ—সবই হচ্ছে এ ক্রেডিট কার্ড দিয়ে। এর আরেকটি বড় সুবিধা হলো নির্ধারিত সময়ে টাকা পরিশোধ করলে কোনো সুদও গুনতে হয় না।

এখন থেকে আরেকটি সুবিধা মিলবে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে—মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) বিকাশের মাধ্যমে সহজেই কার্ডের বিল পরিশোধ করা যাবে। দেশে প্রথমবারের মতো সেবাটি চালু করা হয়েছে। এভাবে টাকা পরিশোধের সুযোগ হাতের নাগালে চলে আসার মানে হলো ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের দিন শেষ হয়ে এসেছে। এখন দেশে ইস্যু হওয়া ভিসা ও অ্যামেক্স ব্র্যান্ডের সব ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করা যাবে বিকাশের মাধ্যমে। এর বিপরীতে গ্রাহকদের অতিরিক্ত ১ শতাংশ মাশুল দিতে হবে। বর্তমানে প্রায় ৮৩ হাজার ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক প্রতি মাসে ৫৬ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করছেন।

বিকাশের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিকাশে ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ সেবা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সেবাটি চালুর ফলে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা জমা দেওয়ার ভোগান্তি থেকে গ্রাহকেরা রেহাই পাচ্ছেন। সব ধরনের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকের জন্য সামনের দিনে এ সেবায় আরও অনেক সুবিধা যুক্ত হবে।’

জানা গেছে, বাংলাদেশে ইস্যু হওয়া ১৭ লাখ ক্রেডিট কার্ডের বড় অংশই ভিসা ও অ্যামেক্স ব্র্যান্ডের। এর মধ্যে ভিসা কার্ড রয়েছে প্রায় সব ব্যাংকের। আর অ্যামেক্স কার্ড এককভাবে বাজারে এনেছে দ্য সিটি ব্যাংক। এর বাইরে আরও কয়েকটি ব্র্যান্ডের কার্ড চালু রয়েছে দেশে।

নতুন সেবাটি চালুর ফলে ব্যাংক থেকে বিকাশে, আর বিকাশ থেকে ব্যাংকে টাকা নেওয়াও এখন কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার হয়ে গেছে। অর্থাৎ কার্ড ব্যবহারকারীরা ঘরে বসেই ২৭ ব্যাংকের হিসাব থেকে বিকাশ হিসাবে টাকা আনতে, আবার বিকাশ হিসাব থেকে ওই সব ব্যাংকের হিসাবে টাকা জমা করতে পারবেন। এতে ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের বিল পরিশোধে বাড়তি ঝামেলা দূর হয়েছে। অতিরিক্ত সুদ বা মাশুল পরিশোধ থেকেও রেহাই পাবেন অনেক গ্রাহক। দেশে এখন বিকাশের গ্রাহক রয়েছে ৫ কোটি ২০ লাখ। এসব গ্রাহক ব্যাংকের শাখা, এটিএম বা এজেন্টদের কাছে না গিয়েও দেশের ২৭টি ব্যাংকের পাশাপাশি কার্ড থেকে বিকাশে টাকা আনতে (অ্যাড মানি) পারছেন।