মালয়েশিয়ার প্রোটন এক্স৯০ এখন দেশের বাজারে

মালয়েশিয়ার প্রোটন ব্র্যান্ডের এসইউভি এক্স৯০ মডেলের গাড়ি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে র‍্যানকন গ্রুপ। গাড়িটির বাজারজাত অনুষ্ঠানে অতিথিরা। গতকাল ঢাকার র‍্যাডিসন হোটেলেছবি: সংগৃহীথ

দেশের বাজারে মালয়েশিয়ার এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেলস) প্রোটন এক্স৯০ মডেলের গাড়ি নিয়ে এসেছে র‍্যানকন গ্রুপ। তারা প্রাথমিকভাবে গাড়িটি আমদানি করে বাজারজাত করবে। এরপর প্রোটনের এই গাড়ি বাংলাদেশেই তৈরি করবে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রোটন এক্স৯০ মডেলের গাড়ি উৎপাদন ও বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিজেদের শোরুমে এক্স৯০ মডেলের গাড়িটির দুটি ভেরিয়েন্ট পাওয়া যাবে। এর মধ্যে ছয় সিটের ফ্ল্যাগশিপ ভেরিয়েন্টের দাম পড়বে ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, আর সাত সিটের প্রিমিয়াম ভেরিয়েন্টের মূল্য ৪৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

দেশীয় প্রতিষ্ঠান র‍্যানকন গ্রুপের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ক্রেতারা গাড়িটি কিনলে পাঁচ বছর পর্যন্ত অথবা ১ লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার (যেটি আগে হয়) ওয়ারেন্টি সুবিধা পাবেন। সেই সঙ্গে ছয়টি বিক্রয়োত্তর সেবাও দেবে র‍্যানকন। এ ছাড়া র‍্যানকনের অনুমোদিত সেবাকেন্দ্র থেকে যেকোনো সেবা ও মূল স্পেয়ার পার্টস সংগ্রহ করা যাবে। প্রাথমিকভাবে সেবা মিলবে র‍্যানকনের ঢাকা ও চট্টগ্রামের সার্ভিস সেন্টারে।  
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিম বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষাসহ নানা খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার সম্পর্ক বেশ সুদৃঢ়। অটোমোবাইল খাতের নতুন যাত্রা সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। এ জন্য আমি এই দুই প্রতিষ্ঠানে কর্ণধারদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। প্রোটন মালয়েশিয়ার বাজারে বিশ্বস্ত একটা পণ্য। আশা করি, বাংলাদেশেও এটি আস্থা অর্জন করবে।’

র‌্যানকন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোমো রউফ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে গাড়িগুলো বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। বাজারজাত শুরু করার মাধ্যমে এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। দ্রুত আমাদের কারখানায় গাড়িগুলো তৈরি করব। এই পথচলায় প্রোটন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় আমরা তাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।’

রোমো রউফ চৌধুরী আরও বলেন, র‍্যানকনের কারখানায় প্রোটন গাড়ি তৈরি শুরু হলে দেশের বাজারে স্বল্পমূল্যে গাড়ি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

প্রোটনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লি চুনরং বলেন, ‘বাংলাদেশে এটা আমার প্রথম আসা। এই দেশের অগ্রগতি আমাদের আশাবাদী করেছে। আমাদের প্রত্যাশা, আগামী দিনে এ দেশে গাড়ির ব্যবসা সম্প্রসারণে দুই প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। প্রোটন গত ছয় বছর ধরে প্রযুক্তিতে দারুণ উন্নতি করেছে এবং বিশ্ববাজারে নতুন নতুন চমক দেখাচ্ছে।’ গুণগত মান ভালো হওয়ায় প্রোটনের গাড়ি বাংলাদেশের ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে সামর্থ্য হবে বলে মনে করেন তিনি।

র‍্যানকন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রশিদ ভূইয়া বলেন, ‘গাড়িটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে নানা সুযোগ-সুবিধা সংযোজন করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিবেশবান্ধব হওয়ায় গাড়িটি ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’  

প্রোটন এক্স৯০ মডেলের গাড়ি বিপণন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে র‍্যানকন ও প্রোটনের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।