চামড়া খাতের বিকাশে বিশ্বমানের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার প্রয়োজন: এফবিসিসিআই

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন

দেশে পশুর কাঁচা চামড়ার অনেক প্রাপ্যতা থাকলেও চামড়াজাত পণ্য তৈরির জন্য তা বিদেশ থেকেই আমদানি করতে হয়। এর কারণ হলো দেশে উন্নত ব্যবস্থাপনার অভাবে কাঁচা চামড়ার একটা অংশ পচে নষ্ট হয়। এই সমস্যার সমাধানে সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত ট্যানারি শিল্পনগরের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারকে (সিইটিপি) দ্রুত আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়া জরুরি। এটা করা গেলে চামড়া খাতে শতভাগ মূল্য সংযোজন সম্ভব হবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন চামড়া খাত নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন। এফবিসিসিআইর চামড়া খাতবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি রোববার রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে এই সভার আয়োজন করে।    

সভায় জসিম উদ্দিন আরও বলেন, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বিকাশ ঘটাতে উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করাসহ প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক সনদ অর্জন জরুরি। পাশাপাশি এ খাতের আধুনিকায়নে তরুণদের অন্তর্ভুক্তি দরকার।

এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, সংগঠনের চামড়া খাতবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শাহীন আহমেদ, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প সমিতি বাংলাদেশের (নাসিব) সভাপতি মির্জা নুরুল গণি প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, দেশীয় পশুর চামড়া সংরক্ষণে প্রতিটি জেলায় একটি করে হিমাগার ও আধুনিক পশু জবাইখানা বা স্লটার হাউস নির্মাণ করা যেতে পারে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথভাবে পশু জবাই পরিচালনা করা গেলে পশু জবাইখানাও একটি ভালো ব্যবসার উৎস হতে পারে।

চামড়া সংরক্ষণে হিমাগারের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী। তিনি বলেন, এতে চাহিদা অনুযায়ী বছরের যেকোনো সময় কাঁচা চামড়ার জোগান দেওয়া সম্ভব হবে।

আর চামড়া খাতের উন্নয়নে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানতগুলোর সনদ অর্জন ও পশু জবাইয়ের স্থানগুলোর বাণিজ্যিকীকরণের পরামর্শ দেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।

কমিটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শাহীন আহমেদ বলেন, দেশে কাঁচা চামড়ার মোট চাহিদার প্রায় ৬০ ভাগ আসে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। কিন্তু উন্নত ব্যবস্থাপনার অভাবে সেগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয় না।