টিসিবির পরিবার কার্ডে এবার চালও পাওয়া যাবে, কমছে ডালের দাম

দোকানে বিক্রি হচ্ছে টিসিবির পণ্য। হাতে ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে পণ্য কিনতে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন লোকজন
ফাইল ছবি

প্রতি মাসে বিক্রয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুলাই মাসের জন্য ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আগামীকাল রোববার থেকে সারা দেশের ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি। এতে প্রথমবারের মতো ৩০ টাকা কেজি দরে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।

আজ শনিবার সংস্থাটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পরিবার কার্ডধারী একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন। এবারে মসুর ডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমানো হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করবে টিসিবি।

সংস্থাটি বলছে, নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যের এসব পণ্য বিক্রি ১৬ জুলাই শুরু হয়ে মাসব্যাপী চলবে। টিসিবি জানিয়েছে, আগামীকাল সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন আবদুল্লাহপুর পলওয়েল কনভেনশন শপিং সেন্টারের পেছনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

টিসিবির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই প্রথমবারের মতো পরিবার কার্ডের আওতায় চাল বিক্রি করা হবে।

এত দিন সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, চিনি ও পেঁয়াজ ইত্যাদি পণ্য বিক্রি করলেও চাল বিক্রি করত না টিসিবি। তবে গত জুন মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে চালও বিক্রির ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সে অনুসারে জুলাই মাস থেকেই চাল বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। টিসিবিকে ভর্তুকি মূল্যের এই চাল সরবরাহ করছে খাদ্য অধিদপ্তর।

গত জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে মসুর ডালের দাম ১০ টাকা কমেছে। জুন মাসে প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ছিল ৭০ টাকা। টিসিবি বলেছে, বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করে ডালের দাম কমানো হয়েছে। এ ছাড়া সয়াবিন তেল ও চিনির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এই সময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকেও পণ্য নিতে পারবেন পরিবার কার্ডধারী ব্যক্তিরা।