তেল বেচে রেকর্ড মুনাফা করল সৌদি আরামকো

জ্বালানি তেল
ছবি: সংগৃহীত

বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রেকর্ড মুনাফা করেছে সৌদি আরবের তেল কোম্পানি আরামকো। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে তারা মুনাফা করেছে ৪৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৪৮০ কোটি ডলার।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বার্ষিক হিসাবে অর্থাৎ গত বছরের সাপেক্ষে এ বছর আরামকোর মুনাফা বেড়েছে ৯০ শতাংশ। তিন বছর আগে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এবার তাদের সর্বোচ্চ আয় হয়েছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করার পর বিশ্ববাজারে তেল ও গ্যাসের দাম অনেকটা বেড়েছে। সাত বছর পর ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়।

বলা হয়েছে, আরামকোর এ মুনাফা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ইতিহাসে এক প্রান্তিকে সর্বোচ্চ মুনাফার পরিসংখ্যান। এ ছাড়া তারা বলেছে, তৃতীয় প্রান্তিকে লভ্যাংশের হার অপরিবর্তিত রাখবে তারা।

এর আগে জানা যায়, বছরের প্রথম প্রান্তিকে আরামকোর মুনাফা বেড়েছে ৮০ শতাংশের বেশি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে আরামকোর দৈনিক তেল উৎপাদন হয়েছে ১৩ দশমিক ৬ বা ১ কোটি ৩০ লাখ মিলিয়ন ব্যারেল। তারা বিভিন্ন উৎস থেকে জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শুধু আরামকো নয়, বিশ্বের অন্যান্য বৃহৎ তেল কোম্পানি যেমন এক্সনমবিল, শেভরন, বিপি সবাই এ বছর বিপুল রাজস্ব আয় করেছে। সে জন্য এই তেল কোম্পানিগুলোর মুনাফার ওপর উইন্ডফল করারোপের (হঠাৎ আয় করা বিপুল মুনাফার ওপর কর) দাবি উঠেছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বৈশ্বিক সংকট কাজে লাগিয়ে অনেক তেল-গ্যাস কোম্পানি অনৈতিকভাবে মুনাফার রেকর্ড করেছে। তিনি এসব কোম্পানির ওপর বেশি হারে করারোপের আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে করের অর্থ চরম অভাবগ্রস্তদের সহায়তায় ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

গুতেরেস জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোর এ প্রবণতাকে ‘উদ্ভট লোভ’ বলে বর্ণনা করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এটা অনৈতিক যে চরম দরিদ্র মানুষের পিঠে যখন জ্বালানি ঘাটতির বোঝা, তখন এই কোম্পানিগুলো রেকর্ড মুনাফা করছে।

তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই বিশ্ববাজারের জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করে। টানা দেড় বছর কোভিডজনিত নানা বিধিনিষেধ থাকার পর উন্নত দেশগুলো তখন কোভিডজনিত সব ধরনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে তেলের দাম আরও বেড়ে যায়।