চেম্বার ও সংগঠনপ্রধানদের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের মতবিনিময়
আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো কী প্রস্তাব দেবে, তা নিয়ে চেম্বার ও খাতভিত্তিক সংগঠনগুলোর প্রধানদের সঙ্গে প্রাক্-বাজেট মতবিনিময় সভা করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। আমদানি শুল্ক, আয়কর, মূসক, অন্যান্য কর–সম্পর্কিত প্রস্তাব ও সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই সভায়। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় এফবিসিসিআইয়ের পর্ষদ কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের জন্য এফবিসিসিআইয়ের বাজেট প্রস্তাব প্রণয়নের কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। বিভিন্ন চেম্বার ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব এসেছে, যেগুলো যাচাই-বাছাই করে এফবিসিসিআইয়ের প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি বাজেট প্রস্তাব নিয়ে এফবিসিসিআই গঠিত বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে বলেও জানান তিনি। খবর বিজ্ঞপ্তি
এ ছাড়া এফবিসিসিআইয়ের আয়কর, আমদানি শুল্ক ও মূসকবিষয়ক মৌলিক প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর, মূসক ও শুল্কবিষয়ক বাজেট টাস্কফোর্সে আলোচনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মাহবুবুল আলম।
মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের জাতীয় অর্থনীতি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ালেও চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। করোনা–পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি ও মধ্যপ্রাচ্য সংকট প্রভৃতি ও এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ আরও সংহত করা জরুরি।
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় ও জাতীয় লক্ষ্যমাত্রাগুলোর আলোকে সুষ্ঠু অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমুন্নত রাখতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবে এফবিসিসিআই।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় করতে ব্যবসার খরচ কমিয়ে আনা, বিনিয়োগ সুরক্ষা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুষম বিনিয়োগ সহায়ক মুদ্রা ও শুল্ক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, জাহাজ পরিবহনের খরচসহ সব ধরনের পরিবহন খরচ হ্রাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্থায়ী অবকাঠামো উন্নয়নে স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি কর আদায়ের ক্ষেত্রে হয়রানি দূরীকরণের মাধ্যমে ব্যবসাবান্ধব কর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আগামী বাজেটে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানানো হবে বলেও মন্তব্য করেন মাহবুবুল আলম।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন মতামত ও সুপারিশ নিয়ে যৌক্তিক প্রস্তাবনা তৈরিতে এফবিসিসিআই কাজ করছে। এ ছাড়া এনবিআর, ভ্যাট ও কাস্টমসের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় আসন্ন বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন বিভিন্ন চেম্বার ও খাতভিত্তিক সংগঠনের প্রধানেরা। বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্থানীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া পণ্যের এইচএস কোড, বর্ধিত জরিমানা, শুল্কায়ন মূল্যের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ সময় এফবিসিসিআইর সাবেক প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, বর্তমান সহসভাপতি মো. মুনির হোসেন, পরিচালক, চেম্বার ও খাতভিত্তিক সংগঠনের প্রধান ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।