বাংলাদেশের পক্ষেও সংস্কার করা সম্ভব

কৌশিক বসু, সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ, বিশ্বব্যাংক

ভারতে ১৯৯১ সালে যখন সংস্কার করল, তার ১০ বছর আগে থেকে লেখালেখি হচ্ছিল যে ভারতে সংস্কার দরকার। কিন্তু যখন সংকট এল, ভারত যখন খেলাপি হওয়ার ফতে, তখন বাধ্য হয়ে হুড়মুড় করে অর্থনীতির সংস্কার করা হলো। এটা কিন্তু জীবনেরই অংশ।

আর তখন লোকেরা রেগে যাচ্ছিল যে আইএমএফ অনেক কিছু করতে জোর করছে। যদিও এর অর্ধেক জিনিস ভারতের উপদেষ্টারা আইএমএফকে গিয়ে বলেছিল যে তোমরা জোর করো, কারণ, এগুলো করা দরকার। আমার ধারণা, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অনেকটা তা–ই হয়েছে।

বাংলাদেশের উপদেষ্টারা আইএমএফকে গিয়ে বলেছে, এখন বদলানো দরকার, আমাদের অনেক পরিকল্পনা বা ধারণা আছে, শর্তের মাধ্যমে এগুলো করতে সুযোগ দাও। আশা করছি, তা করা সম্ভব হবে।

১৯৯১ সালে ভারত যখন আইএমএফকে ডেকে আনে, তখন তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৩ দিনের। এরপর ভারত সংস্কার করল খুব ভালোভাবে। এর ফল আসায় দুই বছর পরে ভারত আইএমএফকে বলল যে তাদের ঋণের অর্থের আর দরকার নেই।

আমার ধারণা বাংলাদেশের পক্ষেও সংস্কার করা সম্ভব। তবে যারা ভঙ্গুর অবস্থায় থাকে, তাদের কথা অবশ্যই ভাবতে হবে। একই সঙ্গে বাজেট ঘাটতিও কমাতে হবে। সুতরাং ভর্তুকি কমাতে হবে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। আসলে পুরো সংস্কারই করতে হবে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে।

-কৌশিক বসু বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ। এখন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কথাগুলো বলেছেন।

কৌশিক বসু, সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ, বিশ্বব্যাংক