সেই নাবিল গ্রুপ থেকে মসুর ডাল কিনছে টিসিবি

মসুর ডাল
ফাইল ছবি

রাজশাহীভিত্তিক আলোচিত ব্যবসায়িক গোষ্ঠী নাবিল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড থেকে ছয় হাজার টন মসুর ডাল কিনছে সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এবার প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ৯৫ টাকা ৯ পয়সা, যা আগের দাম ৯৪ টাকা ৪৪ পয়সা থেকে সামান্য বেশি। মসুর ডাল কিনতে মোট ব্যয় হবে ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা।

বুধবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে টিসিবির জন্য এ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের তা জানান। কোম্পানিটি উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিয়ে টিসিবিকে ছয় হাজার টন মসুর ডাল সরবরাহের কাজ পেয়েছে বলে জানান সাঈদ মাহবুব খান।

রাজশাহীর নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যান জাহান বক্স মণ্ডল। গ্রুপের এমডি মো. আমিনুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহান নাবিল ফিড মিলের চেয়ারম্যান। ইসলামী ব্যাংক থেকে গত বছরের নভেম্বরে নামে ও বেনামে দ্রুতগতিতে অর্থ তুলে নিয়েছিল নাবিল গ্রুপ, যা নিয়ে প্রথম আলোতে ‘ইসলামী ব্যাংকে ভয়ংকর নভেম্বর’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এ ছাড়া টিসিবির জন্য ৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ লাখ লিটার রাইসব্র্যান বা ধানের কুঁড়ার তেল কেনার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে ক্রয় কমিটির বৈঠকে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এ ধানের কুঁড়ার তেল সরবরাহের কাজ পেয়েছে মজুমদার ব্র্যান ওয়েল মিলস। প্রতি লিটার ধানের কুঁড়ার তেলের দাম পড়বে ১৬১ টাকা ৫০ পয়সা। প্রতি লিটারের আগের দাম ১৬৯ টাকা ২৫ পয়সা থেকে তা কিছুটা কম।

এদিকে বিদেশ থেকে গম আমদানির ক্ষেত্রে দরপত্র দাখিলের নিয়মে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে দরপত্র দাখিল করতে হবে। আগে এ সময়সীমা ছিল ৪২ দিন। গম আমদানির ক্ষেত্রে দরপত্র দাখিলের এ সময় কমানোর বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান এ তথ্যও জানান। দেড় মাস আগে সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে (জিটুজি) গম আমদানির ক্ষেত্রেও দরপত্র দাখিলের সময় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে দাখিলের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।