১৬ বছর পর নিলামে বিক্রি হলো ২৫ কেজি সোনা, কারা কিনলেন

সোনার বারপ্রতীকী ছবি: রয়টার্স

বিভিন্ন সময়ে জব্দ বা আটক করা সোনা নিলামে বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধবার প্রায় ১৬ বছর পর নিলামে সোনা বিক্রি করা হয়েছে। এবার বিভিন্ন মানের ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম সোনা বিক্রি করা হয়েছে ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকায়।
সব প্রক্রিয়া শেষে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ভেনাস জুয়েলার্সের কাছে এসব সোনা হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে নিলাম ডেকেও উপযুক্ত দরদাতা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত এই সোনা বিক্রি করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে চলতি বছর নতুন করে আবার নিলাম ডাকা হয়। এতে সেরা দাতা হিসেবে ভেনাস জুয়েলার্স এসব সোনা কিনে নিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, শুল্ক গোয়েন্দাদের জব্দ করা সোনা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রির বিপরীতে পাওয়া ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা কাস্টমসের হিসাবে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রথম নিলামে প্রত্যাশিত দর না পাওয়ায় দ্বিতীয় নিলামের মাধ্যমে এ সোনা বিক্রি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২৩ জুলাই নিলামের মাধ্যমে ২১ কেজি ৮২২ গ্রাম সোনা বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই বছরের শুরুর দিকে তিন ধাপে আরও ২৫, ২১ ও ২০ কেজি সোনা বিক্রি করা হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালের নভেম্বরে বিভিন্ন সময়ে জব্দ করা ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম সোনা বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে ওই বছরের নভেম্বরে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ নিলামে অংশ নিলেও অপেক্ষাকৃত কম দর প্রস্তাব করে। এতে শেষ পর্যন্ত নিলামটি বাতিল করা হয়। এরপর আরও কয়েক দফা নিলাম ডাকা হলেও কোনো সোনা বিক্রি হয়নি।

জানা গেছে, স্থায়ী খাতে নেওয়া সোনার প্রায় ২ হাজার ৪২৯ কেজি ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কিনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বা মজুতে যুক্ত করেছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মালিককে ফেরত বা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে ১ হাজার ৮৭ কেজি ৪০০ গ্রাম। যেসব সোনার দাবি নিয়ে জটিলতা থাকে, সেগুলো অস্থায়ী খাতের সোনা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়। আর যেসব সোনার দাবিদার নিয়ে কোনো জটিলতা থাকে না, সেগুলো স্থায়ী খাতে যুক্ত করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) প্রদত্ত দামের (বাজার রেট) চেয়ে অন্তত ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমে সোনা বিক্রির সম্ভাব্য দাম ঠিক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদি নিলামে ওই দামের সমান বা বেশি পাওয়া যায়, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত কমিটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়।