বিবৃতিতে ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেন, ‘চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন জিততে পারে এবং অবশ্যই জিতবে। কিন্তু যুদ্ধে ইউক্রেনের ওপর অবৈধ ও বর্বর আক্রমণ করছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাই যুদ্ধের জন্য রাশিয়া যে অর্থ ব্যয় করছে, তা বন্ধ বা সীমিত করতে যা কিছু করা সম্ভব, তা আমরা করছি।’

সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে রাশিয়া থেকে ৪ কোটি ৫০ লাখ কানাডীয় ডলারের (প্রায় ৩ কোটি সাড়ে ২৪ লাখ মার্কিন ডলার) অ্যালুমিনিয়াম ও ২১ লাখ ৩০ কোটি কানাডীয় ডলারের (প্রায় ১৫ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার) ইস্পাতপণ্য আমদানি করেছে কানাডা।

ফলে দেখা যাচ্ছে, কানাডার নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার বেশ কিছু পরিমাণ ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি প্রভাবিত হবে।

এদিকে, গত মাসে রাশিয়া থেকে অ্যালুমিনিয়াম ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, যা গতকাল শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী অ্যালুমিনিয়ামপণ্যের অন্যতম সরবরাহকারী দেশ হলো রাশিয়া। দেশটির কোম্পানি রুসাল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বিশ্বব্যাপী রপ্তানি হওয়া অ্যালুমিনিয়ামের ৬ শতাংশই এককভাবে করে থাকে রুসাল।
ইউক্রেন শুরু যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা মিত্ররা। কানাডার তাতে রয়েছে সক্রিয় ভূমিকা। এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ১ হাজার ৬০০–এর বেশি ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা; পাশাপাশি ইউক্রেনকে প্রায় ৩৬০ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা দিয়েছে দেশটি।

কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করছি, এখন থেকে পুতিন কানাডায় অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাত বিক্রি করে ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য অর্থ খরচ করতে পারবেন না।’