আইসিটি ক্যাডার থাকলে মেধাবীরাও দেশে থাকবেন

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের ফলে আজ এই মহামারিতেও অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা, ব্যবসা–বাণিজ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও সরকারি ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। বর্তমান যে বিপ্লব চলছে, এর মূল নিয়ামক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন। সব অর্জনকে টেকসই করতে আইসিটিকে শক্তিশালী করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আইসিটি ক্যাডার তৈরি হলে দেশের মেধাবী গ্র্যাজুয়েটরা ক্যারিয়ারের জন্য আর দেশ ছেড়ে যাবেন না বলে তিনি মনে করেন।

‘টেকসই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটি জনবলের ভূমিকা’ শীর্ষক আয়োজিত এক ওয়েবমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম ১২ অক্টোবর এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে। সেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ও ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুনাইজ আহমেদ নূর বলেন, উচ্চশিক্ষায় দক্ষ মানবসম্পদের ভূমিকা অপরিসীম আর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে আইসিটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সব অর্জনকে সমুন্নত রাখতে আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়নের জন্য সরকার যে কাজ শুরু করেছে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আইসিটি গ্র্যাজুয়েটদের মেধা, মনন ও উদ্ভাবনী শক্তি দেশের জন্য আরও অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আরজেএসসির প্রোগ্রামার জিকরা আমিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষক মোহাম্মদ শামসুল আরেফিন। তিনি বলেন, দেশে আইসিটিতে ভালো ক্যারিয়ার না থাকায় প্রতিবছর প্রকৌশল ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া গ্র্যাজুয়েটদের বড় একটা অংশ দেশের বাইরে চলে যায়। ফলে তাঁদের মেধা, মননশীলতা তাঁদের উদ্ভাবনী শক্তি থেকে দেশ বঞ্চিত হয়। আবার অনেকেই সিএসই কিংবা সিএসই রিলেটেড বিষয়ের গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পরও শুধু আইসিটি ক্যাডার না থাকার কারণে অন্য ট্র্যাক কিংবা অন্য ক্যাডার বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. তমিজ উদ্দীন আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়নের দাবি শুধু আইসিটি জনবলেরই নয়, এ দাবি সরকারের, এ দাবি মাননীয় আইসিটি উপদেষ্টার।