২০২১ সালের প্রযুক্তিগত পরিবর্তনে টেলিনরের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ গ্রামীণফোনের

২০২১ সালের প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের টেলিনরের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গ্রামীণফোন
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বৈশ্বিক মহামারি বিভিন্ন সামাজিক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে এবং দেশজুড়ে ডিজিটালাইজেশন প্রযুক্তিসংক্রান্ত বিষয়গুলো গ্রহণের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করছে। টেলিনর রিসার্চ সম্প্রতি প্রযুক্তি নিয়ে পাঁচটি পূর্বাভাস করছে, যা চলতি বছর মানুষের পথচলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তনে সহায়তা করবে। গ্রামীণফোন সম্প্রতি রাজধানীর জিপি হাউসে এক অনুষ্ঠানে টেলিনরের প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট এ পূর্বাভাসগুলো নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

কোভিড-১৯ মানুষকে নতুন স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত করে তুলেছে। টেলিনর গবেষণা, যেটি টেক ট্রেন্ড নামে পরিচিত, তার ষষ্ঠ সংস্করণে ২০২১ সালের প্রযুক্তি দুনিয়ার পূর্বাভাস হিসেবে দূরশিক্ষণ ও কাজ এর জন্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন, ইন্টারনেটে সুরক্ষা বিষয়ে শঙ্কা, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারে আধিক্য এবং একাকিত্ব ঘোচাতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করেছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে টেলিনর রিসার্চের প্রধান বিয়র্ন তালে স্যান্ডবার্গ ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে গবেষণার বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে শিখিয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে প্রায়ই প্রতিটি খাতই একসময় যা অসম্ভব বলে চিন্তা করা হতো, সে বিষয়গুলো গ্রহণ করেছে।’

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার বলেন, ‘সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে—বিষয়টি দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’

২০২১ সালে দূরশিক্ষণ ও ভার্চ্যুয়াল শিক্ষার ইকোসিস্টেমে পরিবর্তন আনতে সহায়তার জন্য নতুন প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানাচ্ছে টেলিনর রিসার্চ। বাসা থেকে কাজ করার বিষয়টি চলতি বছর ইতিমধ্যে নিউ নরমালে পরিণত হয়েছে। অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর), ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক অত্যাধুনিক চ্যাটবটের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগুলো মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ মেয়াদে একাকিত্ব অনুভব করছেন, তাঁদের জন্য এগুলো উপকার বয়ে আনবে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘এ টেক ট্রেন্ডগুলো শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির ভিত্তি তৈরি করবে; একই সঙ্গে গ্রিন টেকের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে, ইন্টারনেটে নিরাপদে থেকে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে। এ বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য আমরা রেগুলেটর, ইকোসিস্টেম পার্টনার, উদ্ভাবক ও পলিসি মেকারদের সঙ্গে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
২০২১ সালের পাঁচটি টেক ট্রেন্ডের বিষয় নিয়ে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে—
* মানসিক স্বাস্থ্যজনিত অসুস্থতা মোকাবিলায় প্রযুক্তির ব্যবহার
* গ্রিন টেকের জন্য একটি ডিজিটাল বসন্ত
* পাসওয়ার্ড–আতঙ্ক: সাইবার সুরক্ষা চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হবে
* কর্ম ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ হবে
* শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবধান নিয়ে ভাবনা।