বাংলাদেশের বাজারে বিশ্বখ্যাত মিতসুবিশি মেরিন ইঞ্জিন নিয়ে এল এসিআই লিমিটেড। গত শুক্রবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে মিতসুবিশি মেরিন ইঞ্জিনের বাজারজাত কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৯ সাল থেকে এসিআই লিমিটেড মেরিন মেশিনারিজ ও সরঞ্জামের ব্যবসার মাধ্যমে সামুদ্রিক ব্যবসায় যুক্ত হয়। এ জন্য গঠন করা হয় এসিআই মেরিন অ্যান্ড রিভেরাইন টেকনোলজিস নামে নতুন কোম্পানি। সামুদ্রিক ব্যবসার আওতায় বিশ্বখ্যাত মিতসুবিশি মেরিন ইঞ্জিন বাজারে এনেছে এসিআই। ভবিষ্যতে নদী খননযন্ত্র ড্রেজিং, পরিবহন, নদী ব্যবস্থাপনা ও উচ্চ প্রযুক্তির নেভিগেশনাল সরঞ্জাম খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

এসিআই জানিয়েছে, বর্তমানে গ্রুপটি ৩৭৮ কিলোওয়াট থেকে দুই হাজার কিলোওয়াটের মিতসুবিশি মেরিন ইঞ্জিন বাজারজাত করবে। এ ইঞ্জিন দেশের অভ্যন্তরীণ ও সমুদ্রগামী জাহাজ, ড্রেজার, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জাহাজ, বিদ্যুৎকেন্দ্র, পাম্পস্টেশন ও শিল্পের যন্ত্রপাতিতে ব্যবহার করা যাবে।

নতুন এ পণ্যের বাজারজাত কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি ইয়ামা। বিশেষ অতিথি ছিলেন পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেল ও বিআইডব্লিউটিএর সদস্য এ কে এম মতিউর রহমান। আরও বক্তব্য দেন এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা, এসিআই মেরিন অ্যান্ড রিভেরাইন টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারী, এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস।

এ ছাড়া বক্তব্য দেন মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ ইঞ্জিন অ্যান্ড টার্বোচার্জার লিমিটেডের পরিচালক ইওশিহিরো কোয়ামা, মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ ইঞ্জিন সিস্টেম, এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোরিও মুরাকামিসহ এসিআই লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে বর্তমানে প্রায় ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথ রয়েছে। সামুদ্রিক এলাকায় ২০০ নটিক্যাল মাইল প্রবেশাধিকার পাওয়ার পর বাংলাদেশে ব্লু ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি হয়। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে সরকার বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সামুদ্রিক খাতকে ‘অগ্রাধিকার খাত’ ঘোষণা করেছে। এ খাতের সম্ভাবনার বিষয়টি মাথায় রেখেই এ খাতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এসিআই।