দক্ষ ও ব্যবসায়িক অভিবাসনে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানই সেরা

সিডনি থেকে ঢাকার দূরত্ব সিডনি থেকে লন্ডনের দূরত্বের প্রায় অর্ধেক, কিন্তু দূরত্বটা আসলে মনোজগৎ এবং সংস্কৃতির। গত ২০ বছরে অস্ট্রেলিয়ায় দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। সেই হারে বাড়েনি পারস্পরিক আন্তসম্পর্ক। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে, তাতে ব্যবসায়িক আন্তসম্পর্কের এই ব্যবধান ঘোচানোর এক দারুণ সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সম্ভাবনার বীজ বাস্তবে পরিস্ফুটিত করতে আয়োজন করা হয়েছিল ‘সাউথ এশিয়ান এন্ট্রাপ্রেনিউর সামিট ২০২২’।

৮ অক্টোবর মেলবোর্নের ক্রাউন কনফারেন্স সেন্টারে ৩০০ সফল উদ্যোক্তার সমাগমে আর বিভিন্ন স্বপ্নচারী অতিথির উপস্থিতিতে যে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে, তা বাংলাদেশের সন্তানদের হাতে গড়া একটি অভিবাসন প্রতিষ্ঠান ‘এডুএইড’। ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো অনেক শক্তিশালী প্রতিযোগীর মধ্য থেকে বাংলাদেশি অভিবাসীদের একটি প্রতিষ্ঠানের এ অসামান্য সফলতা প্রত্যেক বাংলাদেশির জন্য নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণার। এর অর্থ হলো, অভিবাসনের মতো একটি জটিল ও স্পর্শকাতর সেবাও আমরা উৎকর্ষতার শিখরে নিয়ে যেতে পারি।

আকাশছোঁয়া স্বপ্ন আর সততা এবং পরিশ্রম সঙ্গী করে ২০০০ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে যাত্রা শুরু হয়েছিল এডুএইডের। গত ২২ বছরে দক্ষ ও ব্যবসায়িক অভিবাসনের ক্ষেত্রে নিরলস প্রচেষ্টা এবং গ্রাহকসেবার প্রতি আত্মনিবেদন আজকের এই সফলতার পেছনে মূল নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। এডুএইডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী আহসানের মতে, নিরন্তর উৎকর্ষতার প্রতি একাগ্র নিষ্ঠা আর শুধু সুনিশ্চিত আবেদনগুলো গ্রহণ করার নীতি প্রতিষ্ঠানটির এ সফলতার চাবিকাঠি। নিঃসন্দেহে এ সফলতা অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

সাউথ এশিয়ান এন্ট্রাপ্রেনিউর সামিট ২০২২–এ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সফল অনেক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ভিক্টোরিয়ার সংসদ সদস্য ম্যাথিউ জ্যাসন গাই, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং ইন্টার্নম্যাচ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা সিইও গেরাল্ড হল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ভিক্টোরিয়া আইনসভার সদস্য শিন ওয়াট এমপি এবং লেবার পার্টি ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য ক্যাথরিন রায়ান।