এ বছর ফুডপান্ডায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে যেসব খাবার ও গ্রোসারি পণ্য
বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশ বাংলাদেশ। এ দেশে উৎসব যেন সারা বছর ধরে লেগেই থাকে।
আবহমান কাল ধরে পালিত উৎসবের সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে হালের নানা ধরনের আয়োজন আর উদ্যাপন। তেমনি উৎসব ঘিরে উদ্যাপনে রসনাবিলাসের ঘাটতিও থাকে না। শুধুই কি উৎসব? বাঙালির দৈনন্দিন জীবনে ‘খাবারই’ যেন আলাদা এক রং ছড়ায়। সেটা হোক প্রয়োজনে কিংবা নিছক আনন্দ উদ্যাপনে। ভোজনরসিক হিসেবে বাঙালিও তাই ঘরে বা বাইরে মুখরোচক সব খাবারের খোঁজে থাকেন।
ঘরে তৈরি খাবারের পাশাপাশি রেস্তোরাঁর খাবার এখন জায়গা করে নিয়েছে বাঙালির রোজকার খাবার টেবিলে। একই সঙ্গে অ্যাপের মাধ্যমে পরিচিত স্বাদের খাবার অর্ডারও এখন প্রতিদিনকার জীবনে জায়গা করে নিয়েছে। নাগরিক জীবনে যেমন ব্যস্ততা বেড়েছে, তেমনি অনলাইনে খাবার অর্ডারের পাশাপাশি গ্রোসারি অর্ডারেও ঝুঁকছে মানুষ; সঙ্গে যোগ হয়েছে অ্যাপের মাধ্যমেই রেস্তোরাঁ থেকে সরাসরি খাবার ‘পিক’ করা বা রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার প্রচলন। উৎসব, উদ্যাপন বা প্রয়োজনে সব সময়ই গ্রাহকদের খাবার ও গ্রোসারি ডেলিভারি সেবা দিয়ে আসছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপান্ডা। চলতি বছরজুড়ে (জানুয়ারি থেকে নভেম্বর) ফুডপান্ডা অ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার, তাদের গ্রোসারি অর্ডারের প্রবণতাসহ অনলাইনে খাবার ও গ্রোসারি অর্ডারের নানা তথ্য থাকছে এখানে।
সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘প্লেন রাইস’, পিছিয়ে নেই ‘পরোটা’ ও ‘বিরিয়ানি’
অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপান্ডায় খাবার হিসেবে সবচেয়ে বেশি অর্ডার হয় ‘প্লেন রাইস’। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর এ চিত্রই দেখা গেছে। তবে প্লেন রাইসের পাশাপাশি জনপ্রিয়তায় ওপরের দিকে রয়েছে পরোটা, তেহারি, বাসমতি কাচ্চি ও চিকেন বিরিয়ানির মতো খাবার। এ ছাড়া গ্রিলড চিকেন, বাটার নান, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, বার্গার, বোরহানি আর চিকেন চাওমিনেরও বিশেষ কদর রয়েছে।
গ্রোসারি অর্ডারে এগিয়ে ‘ডিম’
অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপান্ডায় খাবার ছাড়া গ্রোসারি অর্ডার করা যায়। এ জন্য ফুডপান্ডার নিজস্ব ডার্কস্টোর পান্ডামার্ট ছাড়া রয়েছে শপস অপশন। এ বছরের গ্রোসারি অর্ডারের প্রবণতা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গ্রোসারি পণ্যের মধ্যে ফুডপান্ডায় সবচেয়ে বেশি অর্ডার করা হয় ডিম। এ ছাড়া বিভিন্ন সবজি, আটা, লবণ, চিনি, বেভারেজ, চিপস, ডিটারজেন্ট, সাবান, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য গ্রাহকেরা হরহামেশাই ফুডপান্ডায় অর্ডার করে থাকেন।
সপ্তাহের শেষেও এগিয়ে ‘প্লেন রাইস’ ও ‘ডিম’
সপ্তাহের শেষে অর্থাৎ সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে অনেকেই ঘরের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেন। আবার এই দিনগুলোতে অনলাইনে অর্ডার করা পছন্দের রেস্তোরাঁর খাবারে অনেকের ঘরোয়া আড্ডাও জমে ওঠে। চলতি বছরে ফুডপান্ডা অ্যাপের মাধ্যমে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনগুলোতে খাবার হিসেবে সবচেয়ে বেশি অর্ডার হয়েছে প্লেন রাইস, পরোটা, বিফ তেহারি, বাসমতি কাচ্চি, বোরহানি, চিকেন বিরিয়ানি, গ্রিলড চিকেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও বাটার নান। আর সবচেয়ে বেশি অর্ডার হওয়া গ্রোসারি পণ্যের মধ্যে রয়েছে ডিম, ডিটারজেন্ট, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, বেভারেজ, চিনি আর চিপস।
উৎসব ও উদ্যাপনের সেরা পছন্দ
বিভিন্ন উৎসব ও উদ্যাপনে খাবার নিঃসন্দেহে এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। চলতি বছর পয়লা বৈশাখে ফুডপান্ডা অ্যাপে সবচেয়ে বেশি অর্ডার হয়েছে বিফ তেহারি। পয়লা ফাল্গুনে প্লেন রাইস, ভালোবাসা দিবসে বিফ তেহারি, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পূজায় প্লেন রাইস ও বাসমতি কাচ্চি, স্বাধীনতা দিবসে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ছিল ফুডপান্ডা ব্যবহারকারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। এ ছাড়া উৎসবের দিনগুলোতে গ্রোসারি অর্ডারেও বিভিন্ন বেভারেজ পণ্য ও ডিম এগিয়ে রয়েছে।
বিশ্বকাপের অনুষঙ্গ
প্রতিবেশী দেশ ভারতে এ বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ–জ্বরে রীতিমতো কেঁপেছে গোটা দেশ! টেলিভিশন সেটের সামনে বসে ম্যাচের উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগের অনুষঙ্গের খোঁজে অনেকেই নানা মুখরোচক খাবার অর্ডার করেছেন ফুডপান্ডায়। বন্ধুদের সঙ্গে প্রিয় খাবার ভাগাভাগিতে প্রিয় দলের জয় উদ্যাপিত হয়েছে। ২০২৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালে ফুডপান্ডা অ্যাপে সবচেয়ে বেশি অর্ডার হয়েছে প্লেন রাইস, বাসমতি কাচ্চি, বিফ তেহারি, পরোটা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, গ্রিলড চিকেন, চিকেন বিরিয়ানি, বাটার নান ও প্লেন নান।
এ ছাড়া চলতি বছরে ফুডপান্ডা অ্যাপের ডাইন-ইন অপশন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্রাহকেরা। সবচেয়ে বেশি পিক-আপ অপশন ব্যবহার করেছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, সাভার, সিলেট, কুমিল্লা, খুলনা, গাজীপুর ও রংপুরের গ্রাহকেরা। ফুডপান্ডা অ্যাপে ডাইন-ইন অপশন ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা বিশেষ ছাড়সহ রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়ার সুযোগ পান। এ ছাড়া পিক-আপ অপশনের মাধ্যমে চলতি পথেই পছন্দের রেস্তোরাঁ থেকে সরাসরি প্রিয় খাবার সংগ্রহ করতে পারেন।
ব্যবহারকারী যেহেতু নিজেই রেস্তোরাঁ থেকে অর্ডার করা খাবার সংগ্রহ করেন, তাই পিক-আপ অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না; বরং এই অর্ডারে ছাড় উপভোগ করে থাকেন ব্যবহারকারীরা।