নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ: হাতিলের প্রতিশ্রুতি

প্রায় ৩০ হাজার বছর আগে থেকে মানুষ কাঠ আর পাথরের সাহায্যে আসবাব তৈরি করতে শিখেছে। আসবাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রকার উপাদান ব্যবহৃত হলেও, কাঠই প্রধান উপাদান। এই কাঠের জোগান দিয়ে থাকে বিশাল বনভূমি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ফলে আসবাবের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি উজাড় হচ্ছে বন। দ্রুত বাড়ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং, ফলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে ক্লিন বা রিনিউয়েবল এনার্জির প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

এমন পরিস্থিতিতে, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড হাতিল জোর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সাসটেইনেবল উন্নয়নের দিকে। যেখানে বনভূমি ধ্বংসের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয় ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রি! সেখানে হাতিলের সাসটেইনেবল প্র্যাকটিস সবাইকে ভুল প্রমাণ করে চলেছে।

হাতিল দেশের প্রথম ফার্নিচার ব্র্যান্ড, যারা গৎবাঁধা উপায়ে কাঠ সোর্সিং না করে দেশের সীমিত বনভূমি রক্ষার্থে এফএসসি (FSC) সার্টিফায়েড কাঠ আমদানি করছে। কারণ, হাতিল বিশ্বাস করে, জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশের ওপর যে প্রভাব পড়ে, তা সাসটেইনেবল প্র্যাকটিসের মাধ্যমে কমানো সম্ভব। আর এই লক্ষ্যে হাতিল শুরু থেকেই কাজ করে চলেছে। এফএসসি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যার লক্ষ্য হলো বিশ্বের বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করা। হাতিলের ফার্নিচারে ব্যবহৃত কাঠ সেই সব বনাঞ্চল থেকে আসে, যা বন ও জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করছে।

হাতিলের সাসটেইনেবলিটি কেবল কাঠ সংগ্রহের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়। তারা তাদের পুরো উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অত্যাধুনিক টেকনোলজির ব্যবহার করে, প্রতিটি পদক্ষেপে অপচয় কমিয়ে আনার প্রবল চেষ্টা করছে। কোরাল অ্যান্টি পলিউশন সিস্টেমের মাধ্যমে কাঠের প্রতিটি ডাস্ট সংগ্রহ করে, তা দিয়ে ব্রিকেট বানিয়ে আবার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। সাধারণত জ্বালানির জন্য ইন্ডাস্ট্রিগুলো কয়লা বা তেল ব্যবহার করে, ফলে কার্বন ফুটপ্রিন্ট বা গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হয়। এতে পরিবেশের প্রচুর দূষণও হয়ে থাকে। কিন্তু হাতিল অপচয় কমিয়ে সোলার এনার্জি ব্যবহার করে আগামী প্রজন্মের জন্য সাসটেইনেবল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করছে।

নিঃসন্দেহে, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ব্যবহার সব কমিউনিটিকে স্বাধীনভাবে রিইউজেবল শক্তি উৎপাদনে উৎসাহিত করে তোলে। তেমনি হাতিলের আরও একটি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ হলো, তাদের অব্যবহৃত ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করে ২.৬৬ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। ফলে জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমিয়ে আনার পাশাপাশি সেন্ট্রালাইজড এনার্জি উৎপাদনের ওপরও নির্ভরতা কমায়। এই ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা সবার জন্য একটি পরিবেশবান্ধব ও সাসটেইনেবল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলায় সক্রিয়ভাবে অবদান রাখছে।

এই বিশ্ব আমাদের জন্য নয়, আমরা এই বিশ্বের জন্য—এই প্রবাদের মতোই আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে প্রকৃতির সংরক্ষণের জন্য নিজেদের নিয়োজিত রাখা। তাই হাতিলের পণ্য কেনা শুধু একটি ফার্নিচার কেনাই হবে না, হবে প্রকৃতি ও দেশের প্রতি অবদান রাখা। কারণ, হাতিলের সোফা, বিছানা, চেয়ার ও টেবিল শুধু ফার্নিচার নয়; বরং হাতিলের আদর্শ ‘লিভ অ্যান্ড রিলিভ’-এর একটি দৃষ্টান্ত।