বিকাশ পেমেন্টেই হচ্ছে ঈদের কেনাকাটা
পবিত্র রমজান ও ঈদ উৎসব ঘিরে মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যায় কয়েকগুণ। নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে এ সময় অনেকেই উৎসবের পোশাক, জুতা, ইলেকট্রনিকস ও অন্যান্য আসবাব কেনাকাটায় ব্যয় করেন প্রচুর অর্থ। কয়েক বছর আগেও মানুষ কেনাকাটা করতে ঝুঁকি নিয়ে বহন করতেন ব্যাগভর্তি টাকা। দিন বদলেছে। এখন কাঁড়ি কাঁড়ি নগদ (ক্যাশ) টাকা নিয়ে শপিং করতে হয় না। হাতের মুঠোয় থাকা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই সহজে ও নিরাপদে ডিজিটাল উপায়ে লেনদেন করা যাচ্ছে। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘বিকাশ’ ব্যবহার করে বছরজুড়ে কোনো ক্যাশ ছাড়াই সম্পূর্ণ কেনাকাটা করতে পারছেন গ্রাহকেরা। আর বিভিন্ন রকম ক্যাশব্যাক আর ছাড়ের কারণে গ্রাহকের কাছে উৎসবের কেনাকাটা মানেই এখন বিকাশ পেমেন্টে কেনাকাটা।
বাড়ছে ডিজিটাল পেমেন্ট অভ্যস্ততা
কয়েক বছর আগেই ঈদ, পূজা, বৈশাখ বা অন্য উৎসব সামনে রেখে ডিজিটাল পেমেন্টের হার বাড়লেও বর্তমানে সারা বছরই ডিজিটাল পেমেন্টে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছেন গ্রাহকেরা। বড় শপিংমলগুলোর পাশাপাশি এখন অলিগলির ছোট মুদিদোকানগুলোতেও বিকাশ পেমেন্টের সুযোগ রয়েছে। সারা দেশে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার মার্চেন্ট রয়েছে বিকাশের। অফলাইন কেনাকাটার পাশাপাশি অনলাইনে কেনাকাটা, খাবার ফরমাশ করে বা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় গিয়েও ডিজিটাল পেমেন্টে অভ্যস্ততা বাড়ছে। বিকাশ পেমেন্টের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাও সারা দেশে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিয়ে পেমেন্ট নিচ্ছেন স্বাচ্ছন্দ্যে।
নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি নেই, নিতে হয় না খুচরা টাকার ঝামেলাও
কেনাকাটার সময় দোকানগুলোতে খুচরা টাকার ঝামেলা এড়িয়ে ছোট থেকে বড়—যেকোনো অঙ্কের কেনাকাটায় পেমেন্ট করা যাচ্ছে বিকাশ দিয়ে। ডিজিটাল পেমেন্টের ফলে কেবল ক্রেতাই নয়, বিক্রেতারাও খুচরা টাকা লেনদেনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পান। কেবল পণ্য কেনাকাটাই নয়, রাইড শেয়ারিং সেবা, বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও বিমানের টিকিট কেনার ক্ষেত্রেও ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিকাশ পেমেন্ট।
কিউআর কোড স্ক্যান দিচ্ছে স্বাচ্ছন্দ্য
কিউআর কোড স্ক্যান করে বা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে খুব সহজেই পেমেন্ট করার সুযোগ থাকায় বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহকদের মধ্যে এই অভ্যস্ততা তৈরি হচ্ছে। ফলে গ্রাহকেরা নিমেষেই হাতের মুঠোয় থাকা বিকাশ অ্যাপ থেকে স্ক্যান করে মুহূর্তেই পেমেন্ট করে কেনাকাটা করতে পারছেন।
কেনাকাটায় ক্যাশব্যাক ও ডিসকাউন্ট
ঈদ উৎসবে কেনাকাটাকে আরও সাশ্রয়ী ও সহজ করতে প্রতিবছরের মতো এবারও বিকাশ পেমেন্টে দিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় অফার। বরাবরের মতো এবারও ব্র্যান্ড আউটলেট, ছোট-বড় দোকান, সুপারশপ, গ্রোসারি শপ, রেস্টুরেন্টসহ অনলাইন ও ফেসবুক শপে কেনাকাটায় গ্রাহকেরা পাচ্ছেন এই ক্যাশব্যাক ও ডিসকাউন্ট কুপন।
অফারগুলোর মধ্যে রয়েছে পছন্দের পোশাক, জুতা ও এক্সেসরিজ কিনে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক। অনলাইন ও ফেসবুক শপে বিকাশ পেমেন্টে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক। পোশাক, জুতা ও ইলেকট্রনিকস কেনাকাটায় ৬০০ টাকা ডিসকাউন্ট কুপন। গ্রোসারি শপে কেনাকাটায় ৬০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট কুপন ও ক্যাশব্যাক। বিকাশ পেমেন্টে কেনাকাটা করে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ পেমেন্ট করে ১০০ শতাংশ ক্যাশব্যাক। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ কেনাকাটা করে বিকাশ পেমেন্ট করলেই তিনজন গ্রাহক পাবেন এই অফার। এ ছাড়া ইফতার-সাহ্রিতে কেনাকাটায় রয়েছে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক।
অ্যাড মানি সুবিধা
কেনাকাটা করতে গিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকলেও চিন্তা করতে হয় না গ্রাহকদের। যেকোনো মুহূর্তে, যেকোনো স্থান থেকে দেশের ৪১টি ব্যাংকের নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে এবং বাংলাদেশে ইস্যুকৃত ভিসা ও মাস্টার কার্ড থেকে গ্রাহক নিজেই অ্যাডমানি করে অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারেন এবং নিজের প্রয়োজনমতো খরচ করতে পারছেন। ফলে হঠাৎ টাকা ফুরিয়ে গেলেও কেনাকাটার পেমেন্ট নিয়ে ভাবতে হয় না গ্রাহকদের।