প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরবে ওয়ালটন

ওয়ালটনের মেগা প্যাভিলিয়ন


বিশ্বের সর্ববৃহৎ ট্রেড শো ‘চায়না আমদানি ও রপ্তানি মেলা’ বা ক্যান্টন ফেয়ার শুরু হচ্ছে আজ রোববার। চীনের গুয়াংজুতে চায়না ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট ফেয়ার কমপ্লেক্সে ১৩৪তম শরৎকালীন ক্যান্টন ফেয়ারের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড হাউসহোল্ড ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস ক্যাটাগরিতে তৃতীয়বারের মতো অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। চীনের ঐতিহ্যবাহী ও মর্যাদাপূর্ণ এই মেলার আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের মেগা প্যাভিলিয়ন।

পাঁচ দিনব্যাপী মেলায় প্রদর্শিত হবে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ইউরোপিয়ান এসিসি ব্র্যান্ড ও ওয়ালটন ব্র্যান্ডের আন্তর্জাতিক মানের ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যসমূহ। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, ডিজাইন ও ফিচারসমৃদ্ধ এআইওটিবেজড স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, ফ্যান ইত্যাদি।

ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের বাজারে নিরঙ্কুশ প্রাধান্য রয়েছে ওয়ালটনের। এবার লক্ষ্য হলো বিশ্ববাজারেও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা। ইতিমধ্যে বিশ্বের ৪০টির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটনের পণ্য। রপ্তানি বাজার আরও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে চীনের ক্যান্টন ফেয়ার।

ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার মো. তানভীর রহমান বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ থেকেই কয়েক লাখ ব্যবসায়ী ও ক্রেতা আসেন ক্যান্টন ফেয়ারে। আমাদের লক্ষ্য তাঁদের কাছে আইওটিবেজড বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব স্মার্ট ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরা।’ এই মেলার মাধ্যমে বৈশ্বিক ক্রেতাদের সঙ্গে ওয়ালটনের একটি আন্তর্জাতিক সেতুবন্ধ তৈরি হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চীনের গুয়াংজুতে ক্যান্টন ফেয়ার কমপ্লেক্সের আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়নে ওয়ালটনের মেগা প্যাভিলিয়ন

ওয়ালটনের ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের চিফ বিজনেস অফিসার মো. সোহেল রানা বলেন, ‘ক্যান্টন ফেয়ার বিশ্বের শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম। পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন। এখানে বিশ্বের সেরা মানের পণ্য নিয়েই হাজির হচ্ছে ওয়ালটন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন ঘটিয়ে উচ্চ মানের পণ্য দিয়ে বিশ্বের যেকোনো ব্র্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত আমরা।’

জানা গেছে, ক্যান্টন ফেয়ারে আসা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত, নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এসব দেশে কর্মরত ওয়ালটনের পরিবেশক এবং প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের ক্রেতা ও পরিবেশকদের ক্যান্টন ফেয়ারে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ক্যান্টন ফেয়ারের মাধ্যমে ওয়ালটনের রপ্তানি বাণিজ্য আরও প্রসারিত হবে বলে আশাবাদী ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।