ওয়ালটন সদর দপ্তরে ইডকলের অর্থায়নে সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন

ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার পরিদর্শনকালে উপস্থিত ইডকল ও ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।ছবি–ওয়ালটন

গ্রিন প্রোডাকশন এবং নবায়নযোগ্য সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশের ইলেকট্রনিকস জায়ান্ট ‘ওয়ালটন’। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির হেডকোয়ার্টার্সে স্থাপন করা হয়েছে ৩.৩ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট, যা দিয়ে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের দৈনিক মোট বিদ্যুতের চাহিদার প্রায় ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ পূরণ হবে। এর ফলে সাশ্রয় হবে বিদ্যুৎ খরচ, সুরক্ষিত হবে পরিবেশ। ওয়ালটনের এই সোলার পাওয়ার প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল)।

১১ নভেম্বর গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন সদর দপ্তরে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম এবং ইডকলের চেয়ারম্যান ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব শরিফা খান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইডকলের নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর মোরশেদ, হেড অব রিনেবল এনার্জি এনামুল করিম পাভেল, কোম্পানি সচিব এম মাফতুন আহমেদ, বাংলাদেশ এবং নেপালে নিযুক্ত কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাইকেল সামসার। ওয়ালটন হাইটেকের পক্ষ থেকে ছিলেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান (অব.), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুফ আলী, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক নিজাম উদ্দিন মজুমদার, আবদুল্লাহ-আল-মামুন, সোহেল রানা, ইয়াসির আল-ইমরান ও মো. মহসিন সরদার এবং নির্বাহী পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, খালেদ বিন কামাল, শাহানা আক্তার, মো. মহসিন আলী মোল্ল্যা প্রমুখ।

ইডকলের চেয়ারম্যান শরিফা খান বলেন, ‘ওয়ালটন সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একটা গর্ব। প্রতিষ্ঠানটি ক্রমান্বয়ে গ্রিন প্রোডাকশন এবং নবায়নযোগ্য সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নবায়নযোগ্য সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এবং ওয়ালটন সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের এক অংশীদার। ওয়ালটনের সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে অর্থায়ন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস, ওয়ালটন অচিরেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।’

বাংলাদেশে কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাইকেল সামসার বলেন, ‘ওয়ালটনের উৎপাদিত পণ্যের উচ্চ গুণগত মান এবং কার্যক্ষমতা দেখে আমি অভিভূত। বাংলাদেশে সোলার পাওয়ার উৎপাদনের যে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, তা ওয়ালটন দেখিয়েছে। তারা প্রতিষ্ঠানের ছাদ, ফুটপাত ও অন্যান্য খালি জায়গা সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করছে। ওয়ালটনের এই উদ্যোগ শুধু আর্থিকভাবেই নয়, পরিবেশের জন্যও অত্যন্ত লাভজনক।’  

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদনপ্রক্রিয়ার ওপর নির্মিত ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র উপভোগ করেন। এরপর ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন।