বিজ্ঞাপন বার্তা— সাক্ষাৎকার

পরিবেশবান্ধব এসি ব্যবহারে ভালো থাকে পরিবেশ, সহজ হয় জীবন

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিপণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এসিও তার ব্যতিক্রম নয়। পরিবেশবান্ধব এসিগুলো কার্বন নিঃসরণ কমায়, পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। পরিবেশবান্ধব বা ইকো-ফ্রেন্ডলি এসি নিয়ে বাংলাদেশে কতটা কাজ হচ্ছে? গ্রাহকেরা কি এ বিষয়ে সচেতন? এসব বিষয়েই প্রথম আলো ডটকমের সঙ্গে কথা বলেছেন ইলেকট্রো মার্ট লিমিটেডের ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার মো. জুলহক হোসাইন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তারেক মাহমুদ নিজামী

প্রথম আলো:

পরিবেশবান্ধব বা ইকো–ফ্রেন্ডলি এসি বলা হয় কোনগুলোকে?

মো. জুলহক হোসাইন: মূলত কার্বন নিঃসরণ ও বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর পাশাপাশি পরিবেশের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ এসিগুলোকেই পরিবেশবান্ধব এসি বলা হয়। এ ধরনের এসি একদিকে যেমন মানুষের জন্য আরামদায়ক, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্যও বজায় রাখে।

প্রথম আলো:

টেকসই প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব এসির দিকে ব্র্যান্ডগুলো কতটা মনোযোগী?

মো. জুলহক হোসাইন: বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে কার্বন নিঃসরণ আরও কমানো যায়, তা নিয়ে সব ব্র্যান্ড চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেই বিবেচনায় দেশে এমন অনেক এসি ব্র্যান্ড রয়েছে, যারা জিরো কার্বন সোর্স টেকনোলজির মাধ্যমে এসি তৈরি করছে। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হওয়ার পাশাপাশি নানারকম সম্মাননাও পেয়েছে এটি। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে ‘গ্রি’ এসির কথা।

প্রথম আলো:

পরিবেশবান্ধব এসিগুলোতে কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়?

মো. জুলহক হোসাইন: পরিবেশবান্ধব এসিতে যুগের প্রয়োজনে নতুন নতুন সব প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়। যেমন ইতিমধ্যে এ ধরনের এসিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) টেকনোলজি বা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সাধারণত একটি এসি ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় চললে আপনি আরামবোধ করতেও পারেন, আবার না–ও করতে পারেন। কারণ, সঠিক তাপমাত্রা আপনি জানেন না। ফলে অতিরিক্ত এনার্জি বা জ্বালানি খরচ হচ্ছে; কিন্তু এআই টেকনোলজি থাকায় এসি ছাড়ার পর এসিটি কক্ষের বর্তমান তাপমাত্রা কত, ঘরের বাইরে কত এবং রুমের মধ্যে কোনো অ্যাক্টিভিটি হচ্ছে কি না, সেটা পরিমাপ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরামদায়ক তাপমাত্রা নির্ধারণ করবে। এ ছাড়া এসিতে আরও ব্যবহার করা হয়েছে ‘স্মার্ট হিউমিডিটি কন্ট্রোলার’, যার মাধ্যমে বাতাসের আর্দ্রতা ব্যালেন্স করা হয়। সে কারণে এ ধরনের এসিতে দীর্ঘ সময় থাকার পরেও ত্বকের সুস্থতা বজায় থাকবে এবং ঘরের ভেতরের কাপড় থাকবে শুষ্ক।

প্রথম আলো:

সাধারণ এসির সঙ্গে পরিবেশবান্ধব এসির পার্থক্য কী? এগুলো কি পরিবেশবান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরি, নাকি শুধু কার্যক্ষমতায় ইকো-ফ্রেন্ডলি?

মো. জুলহক হোসাইন: সাধারণ এসিগুলো পরিবেশের দিক চিন্তা না করেই তৈরি করা হয় শুধু ঠান্ডার কথা চিন্তা করে। এটি স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক; কিন্তু পরিবেশবান্ধব এসিগুলো পরিবেশকে ভারসাম্য করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত বিষয়টি মাথায় রেখে প্রযুক্তিগুলো আপডেট করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব এসির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এতে ব্যবহার করা হয় ‘আর–থার্টি টু’ গ্যাস।

প্রথম আলো:

গ্রিন অ্যানার্জি ও পরিবেশবান্ধব এসির প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ কেমন?

মো. জুলহক হোসাইন: বর্তমানে ক্রেতারা আগের তুলনায় অনেক সচেতন। বেশির ভাগই এসি কেনার আগে দৈনন্দিন জীবনে ঠান্ডার সঙ্গে আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে না, এমন এসি পছন্দ করেন। পাশাপাশি পরিবেশের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ এবং এনার্জি সেভিংয়ের দিকে খেয়াল তো রাখেনই।

প্রথম আলো:

ক্রেতারা কীভাবে নিশ্চিত হতে পারেন যে তাঁরা সত্যিই একটি পরিবেশবান্ধব এসি কিনছেন?

মো. জুলহক হোসাইন: এটি খুবই সহজ একটি প্রক্রিয়া। এসি কেনার আগে দেখতে হবে, এটি আর–থার্টি টু, স্মার্ট হিউমিডিটি কন্ট্রোলার, জিরো কার্বন সার্টিফায়েড, স্মার্ট ইনভার্টার টেকনোলজি, জি–বুস্ট কম্প্রেসর ও এআই টেকনোলজি সংবলিত কি না। এ বিষয়গুলো মাথায় রাখলেই একজন ক্রেতা খুব সহজেই পরিবেশবান্ধব এসি বাছাই করতে পারবেন।

প্রথম আলো:

বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব এসির ব্যবহার বাড়াতে ব্র্যান্ডগুলো কী ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে? আপনাদের কী কী ধরনের পরিবেশবান্ধব পণ্য আছে?

মো. জুলহক হোসাইন: পরিবেশসচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। সেই ধারাবাহিকতায় গ্রি এসি সব সময়ই মানুষের জীবনে কীভাবে একটু প্রশান্তি নিশ্চিত করা যায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে কীভাবে আরও সহজ করা যায়, সেই গবেষণা ও চেষ্টা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি মানুষের মধে৵ সচেতনতামূলক বিভিন্ন কাজও করে যাচ্ছি আমরা। একটি বিষয় বলতে পারি, আমাদের এসিগুলো পরিবেশবান্ধব।

প্রথম আলো:

প্রথম আলো ডটকম আয়োজিত এসি মেলায় আপনারা অংশ নিয়েছেন। পাঠক ও আপনাদের গ্রাহকদের উদ্দেশে কি বলার আছে?

মো. জুলহক হোসাইন: প্রথম আলো ডটকমকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটি আয়োজন প্রতিবছর উপহার দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি পাঠকদের উদ্দেশে বলব, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, এমন প্রযুক্তিসম্পন্ন এসি ব্যবহার করুন। এতে আপনি ভালো থাকবেন—ভালো থাকবে পরিবেশ ও ভালো থাকবে আগামীর বাংলাদেশ।

প্রথম আলো:

আপনাকে ধন্যবাদ।

মো. জুলহক হোসাইন: আপনাকেও ধন্যবাদ।