দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম কোম্পানি গ্রামীণফোনকে (জিপি) প্রথমবারের মতো টেকসই অর্থায়ন সুবিধা দিয়েছে বহুজাতিক হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) বাংলাদেশ। গ্রামীণফোন এই অর্থে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, তার একক সহযোগী হিসেবে কাজ করবে এইচএসবিসি। ব্যাংকটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি গ্রামীনফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান ও এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুব উর রহমান এই অর্থায়নসংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেছেন। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গ্রামীণফোন সেন্টারে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এইচএসবিসি জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণফোন তাদের জলবায়ুসংক্রান্ত কর্মসূচি ও পরিবেশগত দায়বদ্ধতা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করবে। টেকসই অর্থায়ন সুবিধাটি ২০১৯ সালের বেজলাইন অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে স্কোপ-১ ও স্কোপ-২ নির্গমন উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে গ্রামীনফোনের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। পাশাপাশি লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি, নেটওয়ার্ক সরঞ্জামসহ শতভাগ ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহার ধারাবাহিকভাবে নিশ্চিত করবে। এই প্রকল্প দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিসহ প্রযুক্তিগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে গ্রামীণফানের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘গ্রামীণফোনে আমরা একটি সবুজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৫০ শতাংশ কমানো, শতভাগ ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহার, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিসহ ইএসজি লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এই অংশীদারি আমাদের উন্নয়ন যাত্রাকে আরও গতিশীল ও টেকসই কাঠামোকে ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে সহায়তা করবে। আমরা দৃঢ়ভাবে চাই, দেশের প্রতিটি মানুষ যেন একটি ডিজিটালি সক্ষম ও টেকসই সমাজে অংশ হিসেবে এর সুফল ভোগ করতে পারেন।’
এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, ‘গ্রাহকদের সহায়তা করা আমাদের কাজের মূল ভিত্তি। তাই গ্রাহকের টেকসই রূপান্তরের যাত্রায় তাদের পাশে থাকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এটি আমাদের নিজস্ব নেট-জিরো লক্ষ্যের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। গ্রামীণফোনের সঙ্গে আমাদের এই সহযোগিতা স্থানীয় পর্যায়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতিকে অর্থায়নের সঙ্গে যুক্ত করে বাজারে একটি শক্তিশালী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই অংশীদারি পুরো খাতে টেকসই উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে অনুপ্রাণিত করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের টেলিকম শিল্পকে টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সংগত প্রবৃদ্ধির নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত করছে।’