নাদিয়া ফার্নিচারের প্যাভিলিয়ন যেন ‘মেলার ভেতর আরেক মেলা’

রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসর। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের ১০টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজেদের নানা পণ্যে সাজিয়েছে স্টল ও প্যাভিলিয়ন। ‘ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রির ঈদ’খ্যাত এবারের মেলায় বরাবরের মতো অংশ নিয়েছে দেশের প্রথম সারির প্রায় সব ফার্নিচার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

বাণিজ্য মেলায় আসা ক্রেতা-দর্শনার্থী ও ফার্নিচারপ্রেমীদের দৃষ্টি কাড়ছে নাদিয়া ফার্নিচারের নান্দনিক প্যাভিলিয়ন। এ যেন ‘মেলার ভেতর আরেক মেলা!’ কী নেই নাদিয়া ফার্নিচারের প্যাভিলিয়নে? অফিস ফার্নিচার থেকে শুরু করে রয়েছে বেডরুম, লিভিং, ডাইনিং রুমসহ বাসাবাড়ির বিভিন্ন আসবাবের সমাহার।

নাদিয়া ফার্নিচারের যাত্রা শুরু ১৯৯১ সালে। ঢাকার অন্যতম প্রধান এলাকা বারিধারা, উত্তরা, ধানমন্ডি, খিলগাঁও, মোহাম্মদপুরসহ সারা দেশে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে ৩২টি শোরুম। তিন দশক পেরিয়ে ইতিমধ্যে ক্রেতাদের আস্থা ও নির্ভরতার নাম হয়ে উঠেছে ফার্নিচার ব্র্যান্ডটি। ফলে বাণিজ্য মেলায়ও ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাচ্ছে তারা।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ এবং সার্বিক বিষয় নিয়ে নাদিয়া ফার্নিচার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ করিম মজুমদার বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা বিশ্বমানের ফার্নিচার তৈরিতে সচেষ্ট। বর্তমানে দেশের চাহিদা পূরণ করে ভারতেও রপ্তানি করছি। ভবিষ্যতে নেপাল, ভুটানসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু দেশে নাদিয়ার ফার্নিচার রপ্তানির পরিকল্পনা চলছে। আমাদের বিশ্বাস, নাদিয়া ফার্নিচারের মাধ্যমে দেশের রপ্তানি খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রি।’

নাদিয়া ফার্নিচারের বিশেষত্ব

নাদিয়া ফার্নিচার তৈরিতে ব্যবহৃত হয় বিশ্বমানের কাঠ ও উপকরণ। যার বেশির ভাগই আমদানি করা হয় ইন্দোনেশিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। সব ধরনের ক্রেতার চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে নাদিয়ার ফার্নিচার ডিজাইন করে থাকেন একদল মেধাবী আর্কিটেক্ট। ফলে নাদিয়া ফার্নিচারের রুচিশীল, নান্দনিক ও আরামদায়ক ডিজাইনে ক্রেতারা পান আভিজাত্যের ছোঁয়া।

মেলা উপলক্ষে অফার ও মূল্যছাড়

১০০টির বেশি নতুন এবং বিশ্বমানের ফার্নিচার মেলায় নিয়ে এসেছে নাদিয়া ফার্নিচার, যা পর্যায়ক্রমে প্যাভিলিয়নে দৃশ্যমান করা হবে। পাশাপাশি পাওয়া যাবে ব্র্যান্ডটির সব শোরুমেও। বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে নাদিয়া ফার্নিচারের সারা দেশের ৩২টি শোরুম বা মেলার প্যাভিলিয়ন থেকে যেকোনো ফার্নিচার কিনলেই ক্রেতারা পাবেন সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ মূল্যছাড়। এ সুযোগ শুধু মেলা চলাকালীন প্রযোজ্য।

বিক্রয়োত্তর ও অন্যান্য সেবা

পণ্য কেনার সিদ্ধান্তের পর ক্রেতাদের মনে প্রশ্ন থাকে বিক্রয়োত্তর সেবা নিয়ে। নাদিয়া ফার্নিচারের পণ্যে দুই ধরনের বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন গ্রাহকেরা। প্রস্তুতকৃত ত্রুটি বা ‘ম্যানুফ্যাকচারিং ডিফেক্ট’-এর জন্য রয়েছে এক বছরের ওয়ারেন্টি এবং ঘুণে ধরাজনিত সমস্যায় রয়েছে পাঁচ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি।

সঠিক সময়ে পণ্য নিশ্চিতকরণসহ নিকটস্থ শোরুম থেকে গ্রাহকদের ঠিকানায় পণ্য পৌঁছে দেওয়া হয়। ক্রেতারা চাইলে অনলাইনেও নাদিয়া ফার্নিচারের পণ্য পছন্দ ও অর্ডার করতে পারেন। স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে ক্রেতাদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইএমআই সুবিধা।

উল্লেখ্য, বাণিজ্য মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলাপ্রাঙ্গণ।