আগামীর ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে এগিয়ে চলেছে রবি
প্রতিদিনের যেকোনো কাজে আপনাকে সাহায্য করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এটা ভাবা যায়! মুঠোফোনের ক্যামেরার ফিল্টারের মাধ্যমেই সমর্থন জানানো যাচ্ছে প্রিয় ফুটবল দলকে। এমনকি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে জ্যাম ঠেলে আর যেতে হচ্ছে না তাঁর চেম্বারে। মাত্র এক দশক আগেও এসব শুনতে অবাক মনে হলেও প্রযুক্তির নানামাত্রিক উন্নতির ফলে সবই এখন সম্ভব হচ্ছে।
১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সেবার পাশাপাশি এমনই সব উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রসারে কাজ করে চলেছে রবি। সফলভাবে এসব কার্যক্রম আয়োজনের পাশাপাশি উদ্ভাবনী সব অভিজ্ঞতা নিয়ে গ্রাহকদের রোজকার জীবনে নতুন মাত্রা নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতিতে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ভিন্নরূপে যাত্রা শুরু করে রবি।
নতুন প্রথম টেলিকম কোম্পানি হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলায় চার দশমিক পাঁচ–জি (৪.৫জি) সেবা চালুর পাশাপাশি প্রথম মুঠোফোন অপারেটর হিসেবে সারা দেশের শতভাগ নেটওয়ার্ক সাইটে চার দশমিক পাঁচ-জি (৪.৫জি) প্রযুক্তিও স্থাপন করেছে রবি। সব মিলিয়ে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়তে রবি এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি স্কুলপড়ুয়া কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে রবি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ‘তোমার চোখে আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রম। এ ছাড়া রবির উদ্যোগে আয়োজিত নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য সম্ভাবনাময় স্টার্ট-আপ আইডিয়া ‘আর-ভেঞ্চারস ১.০’ ও ‘আর-ভেঞ্চারস ২.০’-এর সাফল্যের পর হতে যাচ্ছে ‘আর-ভেঞ্চারস ৩.০’। তরুণেরাই আগামী দিনে নেতৃত্ব দেবেন দেশের সম্ভাবনাময় ব্যবসা খাতকে, তৈরি হবে স্মার্ট বিজনেস প্ল্যাটফর্ম। এ লক্ষ্যেই আয়োজিত এই ইনকিউবেশন প্রোগ্রামে সেরা ইনোভেটিভ স্টার্ট-আপ আইডিয়া দেওয়া তরুণ উদ্যোক্তাদের দেওয়া হবে ২৫ মিলিয়ন টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ তহবিল বা ‘ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডিং’।
রবি বিশ্বাস করে, কাজ হতে হবে দায়িত্বশীল আর ভাবনা হতে হবে টেকসই। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই বাংলাদেশের টেলকো খাতকে নতুন আগামীর লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে রবি নিয়ে এসেছে ইনোভেটিভ কিছু ক্যাম্পেইন। ফুটবল বিশ্বকাপের সময় প্রিয় দলকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারায় সমর্থন জানাতে এনেছে এআর ফিল্টার এবং এক্সাইটিং গেমিং এক্সপেরিয়েন্স দিতে এআর জাগলার গেম।
এ ছাড়া আছে অগমেন্টেড রিয়েলিটির দারুণ অভিজ্ঞতার উদ্ভাবনী অ্যাপ (এআর অ্যাপ); যেকোনো স্থানে বসেই এই অ্যাপ থেকে গ্রাহকেরা সম্পূর্ণ ভিন্নরূপে জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে দেখার পাশাপাশি পেয়েছেন তাঁর অটোগ্রাফযুক্ত ব্যাট জিতে নেওয়ার সুযোগ। এই ইনোভেটিভ ক্যাম্পেইনগুলোয় সাড়া দিয়েছেন রবির অসংখ্য গ্রাহক। agamirrobi.com ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কেউ দেখতে পেরেছেন রবির ‘ইন্টারঅ্যাকটিভ বিহাইন্ড দ্য সিন’। এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে রবির শক্তিশালী চার দশমিক পাঁচ-জি (৪.৫জি) নেটওয়ার্কে।
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া—দেশের যেকোনো স্থানে রবির গ্রাহকেরা যুক্ত হতে পারবেন উদ্ভাবনী সব কার্যক্রমের সঙ্গে। শুধু টেকনোলজি এবং ইনোভেশন নিয়ে নয়, রবি কাজ করছে পরিবেশ সচেতনতা নিয়েও। গ্রিন এনভায়রনমেন্টের ‘অ্যাডভান্সিং টু নেট জিরো’ উদ্যোগের আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বনের ব্যবহার ৫৫ শতাংশ কমিয়ে আনা এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’ অর্জনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে রবি।
রবির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুধু গ্রাহকেরাই নন, হাজারো রিটেইলার বন্ধু মেশিন লার্নিং ও অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তামিম ইকবালের কাছ থেকে পেয়েছেন বিশেষ শুভেচ্ছাবার্তা।
জীবনে নতুন অভিজ্ঞতার লক্ষ্যে রবি সব সময় বিশ্বাস করে, গ্রাহকদের নিত্যনতুন সব ‘ফিউচার রেডি এক্সপেরিয়েন্স’ উপহার দিতে প্রয়োজন সব সময় উন্নত সেবা প্রদান। তাই রবি অগ্রাধিকার দিয়েছে গ্রাহকদের মূল্যবান মতামতকে। উদ্ভাবনের দিকে পূর্ণ মনোযোগ রবিকে একটি কর্মতৎপর পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করেছে। ফলে, রবি এখন নতুন উদ্ভাবনের জন্য ডেটা অ্যানালিটিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, ক্লাউড সলিউশন এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তি স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছে। আর এভাবেই স্মার্ট এক বাংলাদেশের লক্ষ্যে রবি আগামীর জন্য প্রস্তুত।