ইউডিটিসিএল এখন জেটি ইন্টারন্যাশনাল

ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেডের (ইউডিটিসিএল) নাম পরিবর্তন করে ‘জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিমিটেড’ করা হয়েছে। কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর বিধান অনুযায়ী গত ৫ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ থেকে নতুন নাম কার্যকর হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সুচারুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে এই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই) জেটি ইনকরপোরেশনের একটি সহপ্রতিষ্ঠান। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক তামাক ও ভ্যাপিং প্রতিষ্ঠান জেটিআইয়ের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে অবস্থিত। ২৩ বছর আগে জাপান টোব্যাকো আরজে রেনল্ডসের নন-ইউএস কার্যক্রমগুলো অধিগ্রহণের পর জেটিআইয়ের যাত্রা শুরু হয়। দুই দশক ধরে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪৮ হাজার কর্মী নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
২০১৮ সালে প্রায় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা) বিনিয়োগের মাধ্যমে আকিজ গ্রুপের তামাক ব্যবসা অধিগ্রহণ করে জেটিআই, যা দেশের বেসরকারি খাতে একক বৃহত্তম প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)। অধিগ্রহণের প্রথম তিন বছরেই জেটিআই বিভিন্ন কর ও শুল্ক বাবদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) প্রায় ১৪ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় কোষাগারের অন্যতম শীর্ষ রাজস্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি অধিগ্রহণের পর থেকে অবকাঠামো, প্রযুক্তি, মানব উন্নয়ন ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণে প্রায় ১ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিমিটেড দেশের বেসরকারি খাতের সর্ববৃহৎ নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। তিনটি কারখানা পরিচালনার পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৫ হাজার ২০০ জন তামাক চাষিকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইউডিটিসিএল থেকে জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিমিটেড হিসেবে নাম পরিবর্তনের ফলে প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অন্তর্ভুক্তি সহজতর হবে। অন্তর্ভুক্তি শক্তিশালী হলে বৈশ্বিক মান বজায় রাখা ও যথাযোগ্য কর্তব্য পালনের মাধ্যমে জেটিআই অংশীদারদের সেবা প্রদানে আশাবাদী।
জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিমিটেড অর্থনীতি, জনগণ ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পাশাপাশি করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।