আইডিএলসি ইনকাম ফান্ডে যে যে সুবিধা

সর্বোচ্চ ট্যাক্স রিবেট ও নিয়মিত ভালো রিটার্নের জন্য নিরাপদ বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে ক্যাপিটাল মার্কেটে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ‘আইডিএলসি ইনকাম ফান্ড’। চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের জন্য প্রতিবছরের জুন মাসের একটি প্রধান আলোচ্য বিষয় ‘ট্যাক্স রিবেট বা কর রেয়াত’। ট্যাক্সের অঙ্ক কমাতে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই ট্যাক্স রিবেটের সুযোগ করে দেওয়া হয়, যার মূলমন্ত্র অর্থনীতিকে বেগবান করা। যেসব খাতে বিনিয়োগ করলে ট্যাক্স রিবেট পাওয়া যায়, তার বিধিবিধান, নিয়মনীতি সম্পর্কে আমাদের অনেকের সুস্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে দেখা যায় অনেক সঠিক বিনিয়োগ সম্ভব হয় না।

‘বিনিয়োগ করলে ট্যাক্স রিবেট পাওয়া যায়’—এ তথ্য আমরা অনেকেই জানি, কিন্তু বিনিয়োগ কতটুকু করা উচিত, তা নিয়ে বিভ্রান্তিও থাকে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কতটুকু বিনিয়োগ করতে পারবেন, তার হিসেবটা জানা থাকলেই এ বিভ্রান্তি অনেকখানি কেটে যাবে। একজন ব্যক্তি তাঁর বার্ষিক করযোগ্য আয়ের (ট্যাক্সেবল ইনকাম) ২৫ শতাংশ বা এক কোটি (২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবিত) টাকা পর্যন্ত (যেটাই সর্বনিম্ন) সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করতে পারেন। অর্থাৎ কারও বার্ষিক করযোগ্য আয় যদি ১০ লাখ টাকা হয়, তিনি ২৫ শতাংশ তথা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন। আর কারও বার্ষিক করযোগ্য আয় যদি ১০ কোটি টাকা হয়, তিনি ১ কোটি টাকা সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করতে পারবেন (এ ক্ষেত্রে ২৫% প্রযোজ্য হবে না, বরং ১ কোটি সর্বোচ্চ সীমা প্রযোজ্য হবে)।

যেহেতু ট্যাক্স রিবেটের জন্য বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা যায়, ‘কত টাকা বিনিয়োগ করা যাবে?’—এ প্রশ্ন সমাধান হওয়ার পরের প্রশ্নটাই হচ্ছে, ‘আমার আসলে কোথায় বিনিয়োগ করা উচিত?’ কোন খাতে মোট কতটুকু পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যাবে এবং কোনো খাতে কী পরিমাণ বিনিয়োগের জন্য ট্যাক্স রিবেট প্রযোজ্য হবে—এ বিষয়ে খাতভিত্তিক ‘করযোগ্য বিনিয়োগসীমা’ নির্ধারিত করা আছে। সীমা বিবেচনায় এবং নিশ্চিত রিটার্নের জন্য সঞ্চয়পত্রই এখন পর্যন্ত সর্বাধিক জনপ্রিয় বিনিয়োগ খাত। তবে যাঁদের একটি বৃহৎ অঙ্কের করযোগ্য আয় রয়েছে, এবং সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গেছে, তাঁদের জন্য ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগই সর্বোচ্চ ট্যাক্স রিবেট প্রদানে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য, এফডিআরে বিনিয়োগ ট্যাক্স রিবেটের জন্য প্রযোজ্য নয় এবং ডিপিএসের ট্যাক্স রিবেট পাওয়ার বিনিয়োগ সীমা ৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ, বার্ষিক করযোগ্য আয় ১০ লাখ টাকা হিসাবে যাঁদের বিনিয়োগ সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, তারা যদি এই ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডিপিএসে বিনিয়োগ করেন, তার মধ্যে ৬০ হাজার টাকার জন্যই কেবল ১৫ শতাংশ রিবেট পাবেন (৯,০০০ টাকা)। পরিবর্তে যদি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগ করা হতো, তাহলে পুরো ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরই ট্যাক্স রিবেট পাওয়া যেত (৩৭,৫০০ টাকা)।

ক্যাপিটাল মার্কেটে সরাসরি বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই অনেকে বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। এ ক্ষেত্রে ক্যাপিটাল মার্কেটে সরাসরি বিনিয়োগ করা ছাড়াও বিনিয়োগের বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। যার মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকে অনেকেই এগিয়ে রাখেন। সর্বোচ্চ ট্যাক্স রিবেট এবং বিনিয়োগের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে ‘আইডিএলসি ইনকাম ফান্ড’ নামক নতুন মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে এনেছে আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। উল্লেখ্য, এ মাসেই যাত্রা শুরু করা ‘আইডিএলসি ইনকাম ফান্ড’ দেশের প্রথম ও একমাত্র Debt Mutual Fund, যার অধিকাংশই বিনিয়োগ করা হয় সরকারি সিকিউরিটিজে। যে কারণে একমাত্র এ ফান্ডই ইক্যুইটি মার্কেটের ঝুঁকি পরিহার করে সর্বোচ্চ ট্যাক্স রিবেট ও নিয়মিত ভালো রিটার্নের জন্য একটি নিরাপদ বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে পারে। যাঁদের সঞ্চয়পত্রের সীমা ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়ে গেছে, সর্বোচ্চ ট্যাক্স রিবেটের জন্য প্রয়োজন তুলনামূলক নিরাপদ একটি বিনিয়োগের খাত এবং নিয়মিত ভালো রিটার্ন, তাঁদের জন্য ‘আইডিএলসি ইনকাম ফান্ড’ বিবেচ্য হতে পারে।