‘এক্সপোর্ট লঞ্চপ্যাড বাংলাদেশ’ পুরস্কার পেলেন ২৯ জন

বাণিজ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজার প্রবেশে সহায়তার স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর ২৯ জন পেয়েছেন ‘এক্সপোর্ট লঞ্চপ্যাড বাংলাদেশের’ সনদ।
ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজার প্রবেশে সহায়তার স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর ২৯ জন পেয়েছেন ‘এক্সপোর্ট লঞ্চপ্যাড বাংলাদেশের’ সনদ। দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি), ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অফিস-কানাডা (টিএফও কানাডা) ও বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) পক্ষ থেকে এই সনদ দেওয়া হয়। প্রাথমিক পর্বে দেশের নয়টি শিল্প, ব্যাংক, ট্রেড চেম্বার ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে মোট ২৯ জনকে সনদ দেওয়া হয়।

গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদ তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ৯টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রধান নির্বাহী, প্রেসিডেন্ট, গবেষক, ব্যবস্থাপকেরা, উপপরিচালকেরা, শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রশংসাপত্র গ্রহণ করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই), বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি), ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো (ইপিবি), এসএমই ফাউন্ডেশন (এসএমইএফ), ওমেন এন্টারপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডব্লিওইএবি) এবং ওমেন এন্টারপ্রেনার নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিওইএনডি)।

শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, ব্যবসা উন্নয়নে ভূমিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৬০ জন আগ্রহীর মধ্য থেকে ৩২ জনকে অনলাইন প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন করা হয়। এই বছরের জুলাই মাস থেকে শুরু হয়ে প্রশিক্ষণ শেষ হয় অক্টোবরে। পরে মানদণ্ডের ভিত্তিতে নয়টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে ২৯ জনকে নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত এই প্রশিক্ষকেরা ভবিষ্যতে দেশের সম্ভাবনাময় ব্যবসা-উদ্যোক্তাদের বাণিজ্যে সম্প্রসারণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে যাবতীয় পরামর্শ ও সহায়তা দেবেন।

দেশের বিজনেস কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান-লাইট ক্যাসল পার্টনার্স আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার খলিলুর হমান, একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সমন্বয়ক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান প্রমুখ। এ ছাড়া জুমভিত্তিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোইট প্রিফনটেইন, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হানি সলেম সনবল, ট্রেড প্যাসিলিশন অফিস-কানাডা–এর নির্বাহী পরিচালক স্টিভ টিপম্যান।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘এটা সত্য যে করোনা মহামারি অর্থনীতিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছে। তবে এ রকম পরিস্থিতিতে এসএমই খাত ও নারী উদ্যোক্তারা আমাদের জন্য বড় সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছেন। তাঁদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াসের কারণে অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এ ধরনের প্রশিক্ষণ ব্যবসায় দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করবে বলে আমি আশা করছি।’