কর্মীরা অসুস্থ হলে বাসায় সেবিকা রাখার সুবিধা দেবে ইউনিলিভার

দেশের অন্যতম নিত্যব্যবহার্য পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ কর্মীদের কল্যাণে সম্প্রতি দুটি নতুন নীতি বাস্তবায়ন করেছে। নীতি দুটি হলো—কোনো কর্মী বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের কেউ অসুস্থ হলে ওই সময়ে তাঁরা বাড়িতেই স্বাস্থ্য পরিচর্যা সেবা (কেয়ার গিভার সার্ভিস) গ্রহণ এবং বার্ষিক ছুটির সঙ্গে পরিবর্তনযোগ্য সরকারি ছুটি সমন্বয়ের সুযোগ পাবেন।

আমরা এমন একটি কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে চাইছি, যেটি আমাদের একাত্মতার মূল্যবোধ বহন করবে এবং কর্মীদের সবাইকে সঠিকভাবে মূল্যায়নের পাশাপাশি সবার সমান অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত হবে
জাভেদ আখতার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউনিলিভার বাংলাদেশ

ইউনিলিভার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন নীতি চালু করা উদ্যোগটি ইউনিলিভারের বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র তৈরির দর্শনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যেখানে প্রত্যেক কর্মীর মর্যাদা ও প্রয়োজনীয়তাকে সম্মান দেওয়া হয়। এতে কর্মীরা কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতার সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারবেন।

নতুন নীতি প্রবর্তন প্রসঙ্গে ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাভেদ আখতার বলেন, নীতি দুটি সব কর্মীর জন্য ক্যারিয়ারের প্রতিটি ধাপে সমতাভিত্তিক কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে ইউনিলিভারের প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে চাইছি, যেটি আমাদের একাত্মতার মূল্যবোধ বহন করবে এবং কর্মীদের সবাইকে সঠিকভাবে মূল্যায়নের পাশাপাশি সবার সমান অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত হবে।’

ইউনিলিভারের নতুন ‘কেয়ার গিভার সার্ভিস পলিসি’ অনুসারে কর্মীরা নিজেদের পাশাপাশি তাঁদের সন্তান, পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ কিংবা অসুস্থ সদস্যদের যত্নের জন্য স্বল্প খরচে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত পরিচর্যাকারী এবং সরকার স্বীকৃত সেবিকা রাখতে পারবেন।

ইউনিলিভারের নতুন ‘কেয়ার গিভার সার্ভিস পলিসি’ অনুসারে কর্মীরা নিজেদের পাশাপাশি তাঁদের সন্তান, পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ কিংবা অসুস্থ সদস্যদের যত্নের জন্য স্বল্প খরচে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত পরিচর্যাকারী এবং সরকার স্বীকৃত সেবিকা রাখতে পারবেন। কর্মীরা বাসায় কিংবা হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীর যত্ন, নার্সিং হোমকেয়ার সেবা, ফিজিওথেরাপি, মানসিক পরিচর্যাসহ আয়া সেবার সুবিধা নিতে পারবেন।

দ্বিতীয় নতুন নীতিটি বাস্তবায়নের ফলে ইউনিলিভারের কর্মীরা পরিবর্তনযোগ্য সরকারি ছুটির সঙ্গে ইউনিলিভারের বার্ষিক ছুটি সমন্বয়, পরিবর্তন ও একীভূত করার সুযোগ পাবেন। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ছুটির দিনগুলোতে ব্যক্তিবিশেষের প্রয়োজনে সামঞ্জস্য আনার সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেমন ধর্ম ও সংস্কৃতিভেদে ইউনিলিভারের কর্মীরা লক্ষ্মীপূজা, মাঘী পূর্ণিমা ও ইস্টার সান ডের মতো বিভিন্ন উৎসব উদ্‌যাপন করেন। কিন্তু এসব ছুটি কোম্পানির বার্ষিক ছুটির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে এখন এসব উৎসব ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে নিতে পারবেন।

সুন্দর আগামীর জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই ইউনিলিভার বাংলাদেশ তার কর্মীদের কল্যাণ ও কর্মক্ষেত্রে সমতা বিধানে নতুন এই অগ্রগামী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিগুলো সন্নিবেশিত করেছে।
সাকসি হান্ডা,পরিচালক, মানবসম্পদ বিভাগ, ইউনিলিভার বাংলাদেশ

এ বিষয়ে ইউনিলিভার বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক সাকসি হান্ডা বলেন, কর্মীদের জন্য সুষম, বৈচিত্র্যপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং মানবাধিকার ও সমানাধিকার রক্ষার উপযোগী কর্মক্ষেত্র তৈরিতে ইউনিলিভার বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সাকসি হান্ডা আরও বলেন, সুন্দর আগামীর জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই ইউনিলিভার বাংলাদেশ তার কর্মীদের কল্যাণ ও কর্মক্ষেত্রে সমতা বিধানে নতুন এই অগ্রগামী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিগুলো সন্নিবেশিত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতিমারিকালের এই মানবিক সংকটময় পরিস্থিতি সমাজে একটি অসম বাস্তবতা তৈরি করতে পারে। তাই কর্মীদের শুধু শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করা নয়, বরং মানসিক ও অনুভূতির সুরক্ষা নিশ্চিত করাও এখন গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্মীবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউনিলিভার অনুধাবন করেছে যে অতিমারিকালের এই মানবিক সংকটময় পরিস্থিতি সমাজে একটি অসম বাস্তবতা তৈরি করতে পারে। তাই কর্মীদের শুধু শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করা নয়, বরং মানসিক ও অনুভূতির সুরক্ষা নিশ্চিত করাও এখন গুরুত্বপূর্ণ।

বহুজাতিক কোম্পানিটি জানায়, এ বছর তারা আরও দুটি অগ্রগামী ও লিঙ্গ-নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেছে। সেগুলো হলো প্রিভেনশন অন সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্ট ও সাপোর্ট সারভাইভারস অব এবইউজ। অন্তর্ভুক্তিমূলক কাজের পরিবেশ বজায় রাখা ও কর্মীদের যেকোনো ব্যক্তি বা দলগত হয়রানি থেকে রক্ষা করতে এই নীতিগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে।