দেশে ও বিদেশে রবি সব জায়গাতেই সেরা

এ দেশে রবির পথচলা দুই যুগের বেশি সময় ধরে। চলার পথে মূল চালিকা শক্তি সব সময় গ্রাহকেরা। কাস্টমাররা আমাদের সহযোগিতা করে আসছেন এবং সব সময় পাশে আছেন। এ জন্য কিন্তু আমরা পাঁচ কোটি সদস্যের পরিবার হতে পেরেছি। এ ছাড়া কোভিডের সময় আমরা গ্রাহকদের সবচেয়ে ভালো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

তার ধারাবাহিকতায় বেশ কিছু পুরস্কারও পেয়েছি। আধুনিক সেবার জন্য রবির ওপর আস্থা গ্রাহকদের সব সময়ই ছিল। গ্রাহকদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুধু ব্যবসায়িক নয়, বরং তার চেয়ে কিছু বেশি। আমাদের গ্রাহকদের সম্মান জানাতে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। এলিট কাস্টমারদের নিয়ে ‘মিট দ্য রবি এলিট’ নামে আমাদের এ আয়োজন।

প্রথম আলোর সহযোগিতায় তৃতীয় পর্বের ওয়েবিনারে এভাবে আলোচনা পর্বের শুরু করেন রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।

মাহতাব উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজীব উল আলম, এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির। ওয়েবিনারের শুরুতেই মাহতাব উদ্দিন আহমেদ জানান, ‘আমরা যে তিনজনের সঙ্গে আলাপ করব, তাঁরা শুধু রবির গ্রাহক হিসেবে এলিট নয়, তাঁরা কর্মক্ষেত্রেও এলিট।’ অনুষ্ঠানের শুরুতেই সবার কাছে একই প্রশ্ন করেন মাহতাব উদ্দিন। তিনি জানতে চান, রবি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা কেমন?
অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, ‘কাজের প্রয়োজনেই পৃথিবীর অনেক জায়গায় ভ্রমণ করতে হয় এবং ওই সময় আমাকে সবার সঙ্গে কানেক্ট করে রাখে রবি। শুধু ভয়েস নয়, পাশাপাশি ডিজিটাল, ডেটাসহ সব ক্ষেত্রেই রবি আমাকে সংযুক্ত করে রাখে। সফরে গেলে আমার প্রচুর ডেটা লাগে।

কারণ, আমি পৃথিবীর যেখানেই থাকি না কেন, প্রচুর কাজ করতে হয়। বিদেশে গেলে আমার দেশের সঙ্গে কানেক্ট থাকতে হয়। তাই আমি বলব, রবি যদি না থাকত, পৃথিবীর সঙ্গে আমার সব যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যেত।’

‘রবির রোমিং সার্ভিস খুবই ভালো। আমি সার্ভিসটা নিয়ে খুবই খুশি। আমি রবির বেশ কয়েকটা উদ্যোগের সঙ্গে থেকেছি। এর একটা হলো আর-ভেঞ্চার। আমি দেখেছি, বরি কতটা প্রফেশনাল। তারা নতুনদের নিয়ে কাজ করে। নতুন ও তরুণদের নিয়ে তারা বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিষয়গুলো আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রাহকদের ভালো সেবা দেওয়ার জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে,’ রবির সঙ্গে পথচলার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে এমনটাই বলেন সোনিয়া বশির কবির।

লন্ডন থেকে যুক্ত হয়ে তানজীব উল আলম বলেন, ‘আমি যখনই দেশের বাইরে আসি, তখন ডেটার মাধ্যমে দেশে ও সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করি। আমি আড়াই মাস ধরে লন্ডনে আছি, প্রতিদিনেই বিদেশে বসেও রবির ডেটা ব্যবহার করছি। এখানে আমার লোকাল একটা সিম আছে। সেই সিম থেকেও আমি রবির ডেটাতে বেশি ভালো ফল পাচ্ছি। লোকাল সিম যখন নেটওয়ার্ক পায় না, তখনো আমি রবির সিম ব্যবহার করতে পারি। এটা আমার জন্য স্বস্তি ও আনন্দের। আমি প্রতিদিনই এ অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। দেশে থাকলেও আমি খুবই ভালোভাবে রবি সিম ব্যবহার করে ইন্টারনেট সেবা পাই। কারণ, দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রবির। আমার অন্য অপারেটর ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আছে। তাদের সঙ্গে তুলনা করেই আমি বলব, রবি সবার চেয়ে সেরা।’

লয়্যালিটির মাধ্যমে সেবা আরও কীভাবে উন্নত করা যায়—মাহতাব উদ্দিন আহমেদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, ‘আমি সব সময় খেয়াল করি, আমরা কাস্টমারকে আমার পার্টনার হিসেবে দেখছি কি না, আমার ভ্যালু চেইন হিসেবে দেখছি কি না। আমি উদাহরণ দিয়ে বলি, রবি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যারা নিজেরা আইবিএতে এসে ইনোভেশন সেন্টার করেছে। এটা কিন্তু শুধু ব্যবসার জন্য নয়। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যারা আছে, তাদের মেধাকে আরও কীভাবে ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটার জন্য এ ইনোভেশন সেন্টার। এর ফলে নতুনেরা টেকনোলজির সঙ্গে আরও ভালোভাবে যুক্ত হতে পারবে। আপনি এ থেকে বুঝবেন, এটা হলো লং টাইম লয়্যালিটির কথা চিন্তা করে রবির পদক্ষেপ। রবি ব্যবসার কথা চিন্তা না করেই কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে রবি অবদান রাখছে।’

একই প্রশ্নের জবাবে সোনিয়া বশির কবির জানান, ‘লয়্যালিটি নিয়ে রবির প্ল্যান খুবই পছন্দনীয়। সামনের দিনগুলোয় প্রযুক্তিনির্ভর তরুণ প্রজন্ম গড়ে উঠবে। তারা প্রযুক্তি দিয়েই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করবে। মুঠোফোন সেই চাহিদা পূরণ করবে। রবিও কাস্টমারদের সেই সেবা দেওয়ার জন্য নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’

তানজীব উল আলম বলেন, ‘আমাদের পেশায় কিন্তু একটা বিষয় আছে। ভালো সেবা পেলে একজন মক্কেল আরও দুজন মক্কেল নিয়ে আসেন। রবির কাস্টমারদের লয়্যালিটি ভালোভাবে দিচ্ছে বলেই কিন্তু রবির কাস্টমার অন্য অপারেটরের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।’