বন্দরে পণ্য খালাসের লাইসেন্স পেল ২৩ প্রতিষ্ঠান

চট্টগ্রাম বন্দর
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের জন্য ‘শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর’ হিসেবে ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। বন্দরের বোর্ড সভায় বৃহস্পতিবার এসব প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বন্দর সূত্র জানায়, বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে বছরে সাড়ে ছয় কোটি টন পণ্য খালাস করা হয়। বর্তমানে ৩২টি প্রতিষ্ঠান বহির্নোঙরে পণ্য খালাসে নিয়োজিত রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের আমদানি পণ্য খালাস করে। বাকি ২৭টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন আমদানিকারকের পণ্য খালাসে নিয়োজিত রয়েছে।

লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বন্দরের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বহির্নোঙরে পণ্য খালাসের জন্য তালিকাভুক্ত হতে পারবে। প্রতি পাঁচ বছর পর বহির্নোঙরে পণ্য খালাসের জন্য প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করা হয়। তালিকাভুক্ত হওয়ার পরই পণ্য খালাসকাজের সুযোগ পাবে তারা।

শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের একাধিক সূত্র জানায়, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীরা নতুন লাইসেন্স পেয়েছেন। বর্তমানে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর হিসেবে কর্মরত এবং শিপিং এজেন্টরাও নতুন লাইসেন্স পেয়েছেন।

তবে নতুন করে যাতে লাইসেন্স দেওয়া না হয়, সে জন্য আপত্তি জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের চেয়ারম্যান এ কে এম শামসুজ্জামান রাসেল সম্প্রতি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কুতুবদিয়া বহির্নোঙর ও অন্যান্য বিশেষায়িত জেটিতে আসা দেশি–বিদেশি জাহাজের পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের জন্য রেগুলেশনস ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগং পোর্ট (কার্গো অ্যান্ড কনটেইনার) ২০০১–এর প্রবিধানমালা অনুসরণ না করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ও দরপত্র ছাড়া নতুন শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর তালিকাভুক্ত করতে চায়। যেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ ও দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও অনেক প্রতিষ্ঠান শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে কুতুবদিয়া, বহির্নোঙর ও অন্যান্য বিশেষায়িত জেটিতে কাজের জন্য দরপত্র ছাড়া শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর তালিকাভুক্তি ও নিয়োগ করা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও বেআইনি।

তবে বন্দর কর্মকর্তারা জানান, সর্বশেষ ১৯৮২ সালে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরের লাইসেন্স দেওয়া হয়। এই দীর্ঘ সময়ে পণ্য আমদানি ছয় থেকে সাত গুণ বেড়েছে। পণ্য আমদানি বাড়ায় এবং প্রতিযোগিতা বাড়াতে করণীয় নির্ধারণ করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নতুন করে লাইসেন্স দেওয়া হয়।