ঝিনাইদহ চেম্বার নির্বাচনের ফলের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের নোটিশ

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

ঝিনাইদহ জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনের ফলাফল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

ঝিনাইদহ চেম্বারের নির্বাচন নিয়ে করা রিটের বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

গত ১ জুন ২০২৪-২৬ সাল মেয়াদে ঝিনাইদহ চেম্বার নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৯টি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেলের ৩৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বারের সাবেক সভাপতি সাইদুল করিম। ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ নামে অন্য প্যানেলের নেতৃত্ব দেন আরেক সাবেক সভাপতি খোন্দকার সাখাওয়াৎ হোসেন।

নির্বাচনে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের ১৮ জন প্রার্থী জয়ী হন। পরে ওই প্যানেলের সাইদুল করিম সভাপতি, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও মো. বকুল বাশার কনিষ্ঠ সহসভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

তবে ১১ জুন রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে সাইদুল করিমকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাঁকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম খুনের ঘটনায় আটক করা হয়। এর সপ্তাহখানেক পর (১৯ জুন) ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের পক্ষে চেম্বারের সদস্য খোন্দকার হাফিজুর রহমান নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।

এর ধারাবাহিকতায় আদালতে একটি রিটও করেন খোন্দকার হাফিজুর রহমান। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন। তিনি বলেন, ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে নির্বাচনের ফলাফল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সে মর্মে রুল জারি করেন আদালত। এ ছাড়া নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম গ্রেপ্তার হওয়ার পর ঝিনাইদহ চেম্বারের নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে জটিলতা শুরু হয়েছে। কারণ, তিনি চেম্বারের নবনির্বাচিত সভাপতি। সভাপতি গ্রেপ্তার হওয়ার পর চেম্বারের নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে—এমন অভিযোগ তোলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল। এই প্যানেলের নেতারা আবার ভোটের দাবি জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়।