ই–কমার্স গ্রাহক সুরক্ষার কৌশল নির্ধারণে কমিটি গঠন

দেশের কিছু ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনৈতিক ব্যবসার কারণে যেসব ভোক্তা প্রতারিত হয়েছেন, তাঁদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে ১৫ সদস্যের নতুন একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। দেশের ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে তদারকি ও পরিবীক্ষণের আওতায় আনার কৌশল নির্ধারণও এ কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানকে সভাপতি করে এ কমিটি করে দিয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, পুলিশের প্রধান কার্যালয়, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তর (ডিজিএফআই), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন কমিটিতে। কমিটির সদস্যসচিব থাকবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব এবং অন্য সদস্যরাও যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার হবেন। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

কমিটির কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা; অভিযুক্ত ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের তথ্য, সম্পদের বিবরণ, ব্যাংক হিসাবের স্থিতি এবং অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারের পদ্ধতি নির্ধারণ করা; ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা; ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও পরিবীক্ষণের জন্য ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ করা; ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সব ধরনের আর্থিক লেনদেনকে তদারকি করা এবং এগুলোকে করের আওতায় নিয়ে আসা।

কমিটির সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কমিটির সদস্যদের নাম পাঠাতে আমরা সব দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে প্রতিবেদন পাঠাতে পারব বলে আশা করছি।’

এর আগে গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর ই–কমার্স খাতের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল ১৬ সদস্যের করে আরও দুটি আলাদা কমিটি করেছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে কারিগরি কমিটি, যে কমিটি ডিজিটাল কমার্স-সংক্রান্ত সব কার্যক্রম, ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা করা, লেনদেনজনিত ভোক্তা বা বিক্রেতা অসন্তোষ ও প্রযুক্তিগত সমস্যা নিরসন করাই এ কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য। অন্য কমিটি খতিয়ে দেখছে ই–কমার্স আইন ও ই–কমার্স কর্তৃপক্ষ গঠন করার বাস্তবতা বা যৌক্তিকতা আছে কি না।