দাম বাড়লে বাজারে প্রভাব পড়বে

বিশ্বজিৎ সাহা, পরিচালক, সিটি গ্রুপ

করোনা মহামারির মধ্যে নানা কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। গম, চিনি, ডাল, অপরিশোধিত সয়াবিন তেলসহ সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামই বাড়তি। জাহাজভাড়াও কয়েক গুণ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের বাজার আবার অস্থির হয়ে উঠেছে। ৮৬ টাকায় ডলার কিনতে হচ্ছে। তাতে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের খরচ বেড়ে গেছে। সেটির প্রভাব গিয়ে অবশ্যই বাজারে পড়বে, নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে।

ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দামের সঙ্গে আমদানি শুল্ক এবং আমাদের ব্যাংকঋণের পরিমাণও বাড়বে। আবার যেহেতু জাহাজভাড়া দেশীয় মুদ্রায় দিতে হয়, সেখানেও প্রভাব পড়বে। খোলাবাজারে ডলারের দাম ৯০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। যদিও ঋণপত্র খুলতে এখনো ৮৬ টাকায় ডলার মিলছে। তবে ব্যাংকিং চ্যানেলও একইভাবে দাম বাড়লে পরিস্থিতি জটিলই হবে।

আন্তর্জাতিক বাজারে আপাতত নিত্যপণ্যের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। দাম যত কমার আশা করছি, ততই যেন বাড়ছে। সে কারণেই গত সপ্তাহে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা বাড়াতে হয়েছে। বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। আমি বলতে চাইছি, আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপণ্যের যে বাড়তি দাম, সেটি কমানোর সুযোগ আমাদের হাতে নেই। জাহাজভাড়া কমানোরও কোনো বুদ্ধি নেই।
এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় নিত্যপণ্যের দাম আরও বাড়বে। তাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি না কমে বাড়বে।