দাম যেন বেশি না বাড়ে খেয়াল রাখতে হবে

আবরার হোসেন, পরিচালক, সায়েম গ্রুপ

ডলারের বাজার অস্থির। ব্যাংক ও খোলাবাজারে দাম বাড়ছেই। তার মানে টাকার মান কমছে। এতে আমাদের মতো তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা রপ্তানির বিপরীতে দেশে প্রত্যাবসিত ডলারের বিপরীতে বেশি অর্থ পাবেন। সেই হিসেবে নিট পোশাকশিল্পের মালিকেরা বেশি লাভবান হবেন। কারণ, তাঁদের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের বড় অংশ দেশেই মেলে। অন্যদিকে ওভেন, স্পোর্টসওয়্যার এবং কৃত্রিম তন্তুর পোশাক যাঁরা উৎপাদন করেন, তাঁদের প্রচুর কাপড় আমদানি করতে হয়। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া এসব পোশাক রপ্তানিকারক বিপদে পড়বেন। তাঁদের আমদানি খরচ অনেক বেড়ে যাবে।

বর্তমানে পোশাকের ভালো ক্রয়াদেশ রয়েছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তার মধ্যে কাঁচামাল আমদানি হতে পারে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের। তার মানে বাণিজ্যে আমাদের উদ্বৃত্ত থাকবে। সেই হিসাবে ডলারের দাম বাড়লে সামগ্রিকভাবে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্প লাভবান হবে। আবার বিদেশ থেকে যেসব শ্রমিক রেমিট্যান্স পাঠান, তাঁদের আত্মীয়স্বজনও উপকৃত হবেন। তাঁরা ডলারের বিপরীতে আগের চেয়ে বেশি টাকা পাবেন।

রপ্তানিকারক ও প্রবাসী শ্রমিকেরা উপকৃত হলেও ডলারের দাম যেন বেশি না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, আমরা আমদানিনির্ভর দেশ। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে গেলে আমদানি ব্যয় বাড়বে। তাতে বাজারে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দামও বাড়বে। আর ভুক্তভোগী হবে সাধারণ মানুষ। বেশি দামে পণ্য কিনতে হবে। সে কারণে ডলার নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।