নিলামে দুবার শীর্ষে ব্র্যাকের চা-বাগান

সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে নিলামে চায়ের গড় দামে শীর্ষস্থান দখল করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের কৈয়াছড়া ডলু চা-বাগান। এ নিয়ে পরপর দুবার এই বাগানের চা নিলামে গড়ে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে।

২০২০-২১ নিলাম মৌসুমে ফটিকছড়ির ভুজপুরের এই বাগানের ৮ লাখ ৪৩ হাজার কেজি চা বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি চায়ের গড় মূল্য ছিল ২৫৩ টাকা ৪০ পয়সা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিলেটের হবিগঞ্জের মধুপুর চা-বাগান। নিলামে কেদারপুর টি কোম্পানির এই বাগানের চায়ের প্রতি কেজির গড় মূল্য ছিল ২৪৬ টাকা।

সব মিলিয়ে নিলামে বিক্রি হওয়া চায়ের গড় দামে সেরা দশে ব্র্যাকের দুটি, ইস্পাহানি গ্রুপের তিনটি, ফিনলের তিনটি, এইচআরসি ও কেদারপুর টি কোম্পানির একটি করে বাগান রয়েছে। নিলামে চা বেচাকেনা মধ্যস্থতাকারী কোম্পানিগুলোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২০-২১ মৌসুমের নিলাম শুরু হয়েছিল গত বছরের ১৮ মে। শেষ হয় গত ১৫ মার্চ। চলতি ২০২১-২২ মৌসুমের নিলাম শুরু হয়েছে ৩ মে।

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে প্রগ্রেসিভ টাওয়ারে প্রতি সপ্তাহে একবার এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।

চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে নিলামে ৮ কোটি ২৫ লাখ কেজি চা বিক্রি হয়। এতে চায়ের গড় মূল্য ছিল ১৮৯ টাকা। সেই হিসাবে বাজারের গড় দামের চেয়েও ব্র্যাকের কৈয়াছড়া ডলু বাগানটির চা ৩৪ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। নিলামে দামের দিক থেকে সংস্থাটির আরেকটি বাগান কর্ণফুলীর অবস্থান সেরা ছয়ে।

ব্র্যাকের কর্ণফুলী চা-বাগানের ব্যবস্থাপক সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গড় মূল্যের দিক থেকে শীর্ষ ১০-১৫টি বাগানের মধ্যে সব সময় থাকে ব্র্যাকের তিনটি বাগান। ব্র্যাকের কৈয়াছড়া ডলু বাগানের চায়ের মান ভালো ছিল বলেই নিলামে ক্রেতারা বেশি দামে কিনেছেন। চা-পাতা উত্তোলন থেকে শুরু করে চা প্রক্রিয়াজাতকরণ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই মানের ব্যাপারে সর্বোচ্চ নজর দেওয়া হয়েছে। তাই সেরা দামও পাওয়া গেছে।

চা বিপণনের নিয়মানুযায়ী, বাগানে উৎপাদিত চা নিলামে তুলে বিক্রি করতে হয়। নিলামে কেনার পর কর পরিশোধ করে গুদাম থেকে তা খালাস করে নেন ক্রেতারা। এরপরই তা বাজারজাত করার সুযোগ আছে। আবার বাগানমালিকেরা চাইলে নিজেদের উৎপাদিত চায়ের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ নিজেরা প্যাকেটজাত করতে পারবেন।