চলতি বছর শেষে বাংলাদেশে ই-কমার্সের আকার দাঁড়াবে ১৯৫ কোটি মার্কিন ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৬ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। গতকাল শনিবার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড আইটি (এমএআইটি) কনসালটিং লিমিটেড ও করপোরেট ডোমেইনের উদ্যোগে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। জার্মান পরিসংখ্যান পোর্টাল স্টাতিস্টার উদ্ধৃতি দিয়ে এমএআইটির
প্রধান নির্বাহী শেখ ওয়ালিউর রহমান বলেন, ২০২৩ সালে ই-কমার্সের আকার ২৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
‘ব্যাংক ও আমাদের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, টি কে গ্রুপের বিপণন পরিচালক মুফাসসিল হক, চাল-ডালের উদ্যোক্তা এবং সিইও জিয়া আশরাফ, ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘সরকার ই-কমার্স পরিচালনার জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করেছে। তবে শুধু নীতিমালা দিলে হবে না, নীতিমালা বাস্তবায়নে একটি কার্যকরী নজরদারি সেল গঠন করতে হবে। বিপণনব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য প্রথম যে বিষয়টিকে আমাদের নজরে আনতে হবে, তা হলো দেশের পোস্ট অফিসগুলোর মানোন্নয়ন। দেশে প্রায় আট হাজারের বেশি পোস্ট অফিস রয়েছে, এগুলোকে যদি ডিজিটাল সেন্টারে রূপান্তর করে পণ্য ডেলিভারির ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে অতি সহজেই ই-কমার্সকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।