বাজেটের কাজ শুরু, এবারও লক্ষ্য বিশাল

জাতীয় বাজেট
প্রথম আলো

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বাজেট প্রণয়নের কাজে সহায়তা করার জন্য প্রতিবারের মতো এবারও চারজন শুল্ক-কর কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বাজেট সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এই কমিটি গঠন করা হয়।
প্রধান বাজেট সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এনবিআরের প্রথম সচিব (কাস্টমস অব্যাহতি ও প্রকল্পসুবিধা) নেয়ামুল ইসলাম। অন্য বাজেট সমন্বয়কারীরা হলেন সংস্থাটির দ্বিতীয় সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, মাজেদুল হক ও জাহিদুল ইসলাম।

এই সমন্বয়কারীরা বাজেটসংক্রান্ত সব ধরনের কাজে সহায়তা করবেন। যেমন বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও সমিতি, গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে বাজেট প্রস্তাব আনা; প্রাক্–বাজেট আলোচনার সমন্বয় করা; বাজেটে প্রণয়নে বিভাগওয়ারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ইত্যাদি।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও সমিতির কাছ থেকে বাজেট প্রস্তাব আহ্বান করা হবে। আর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে কিংবা মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে এনবিআর প্রাক্–বাজেট আলোচনা শুরু করবে। এদিকে দেশে করোনার নতুন ধরন অমিক্রন দ্রুত ছড়াচ্ছে। যে কারণে সরকার কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দিয়েছে। এমন অবস্থায় প্রাক্-বাজেট আলোচনা সরাসরি উপস্থিতিতে নাকি অনলাইনে হবে—সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিশাল লক্ষ্য আসছে

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের বিশাল লক্ষ্য দেওয়া হতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে প্রাথমিকভাবে এই লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এই লক্ষ্য নিয়ে অবশ্য এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বোঝাপড়া বৈঠক করবে অর্থ বিভাগ।

চলতি ২০২১–২২ অর্থবছরে এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা টাকার শুল্ক ও কর আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৫৭৩ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছিল ৮৭ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৫ হাজার কোটি ও দ্বিতীয় মাসে ১৯ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। পরের তিন মাসের প্রতিটিতে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এনবিআর কর্মকর্তারা বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকায় রাজস্ব আদায় হচ্ছে। তবে অমিক্রন দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে।