বাণিজ্য মেলা আয়োজনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সায়

পূর্বাচল নতুন শহরে ২০ একর জায়গার ওপর ১ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শন কেন্দ্র’ করা হয়েছে।

  • প্রদর্শনী কেন্দ্রের দোতলায় আছে পার্কিংয়ের জায়গা—৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে। এতে ৫০০টি গাড়ি পার্ক করা যাবে।

এবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) হচ্ছে, তবে এত দিনের পরিচিত স্থান রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নয়। ঢাকার অদূরে পূর্বাচল নতুন শহরে যে ‘বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শন কেন্দ্র’ নির্মাণ করা হয়েছে, তাতেই হবে এবারের বাণিজ্য মেলা। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী এ মেলার আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোকে (ইপিবি) গত সোমবার চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এক সপ্তাহ আগে মেলার বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে নির্দেশনা চেয়েছিলাম। নির্দেশনা পেয়েছি। মেলা হবে। এর মধ্যে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আমরা আশা করছি।’

১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অস্থায়ী জায়গায় ডিআইটিএফ হয়ে আসছিল। গত বছর পূর্বাচল নতুন শহরে ২০ একর জমির ওপর বাণিজ্য মেলার জন্য স্থায়ী অবকাঠামো করা হয়। চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এ প্রদর্শনী কেন্দ্রটি নির্মাণ করে। মোট ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার বর্গমিটার। এর মধ্যে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে। প্রদর্শনী হলের আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার। এতে রয়েছে ৮০০টি স্টল।

প্রদর্শনী কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যার মধ্যে চীনের অনুদান ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বাকি অর্থ ব্যয় হয়েছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে। এখন থেকে বাণিজ্য ও রপ্তানিবিষয়ক সব মেলাই হবে পূর্বাচলে।

প্রদর্শনী কেন্দ্রের দোতলায় আছে পার্কিংয়ের জায়গা—৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে। এতে ৫০০টি গাড়ি পার্ক করা যাবে। প্রদর্শনী ভবনের সামনে খোলা জায়গায় করা যাবে আরও এক হাজার গাড়ি পার্কিং। প্রদর্শনী কেন্দ্রে এ ছাড়া ৪৭৩ আসনবিশিষ্ট হল, ৫০ আসনবিশিষ্ট সম্মেলনকক্ষ, ৬টি নেগোসিয়েশন কক্ষ, ৫০০ আসনবিশিষ্ট রেস্তোরাঁ, শিশুদের খেলার জায়গা, নামাজের কক্ষ, দুটি অফিস কক্ষ, মেডিকেল বুথ, অতিথি কক্ষ, ১৩৯টি শৌচাগার, নিজস্ব পানির পাম্প, আধুনিক অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা, ঝরনা ইত্যাদি আছে।