বেতন-বোনাস দিতে টাকা চান সিরামিক ব্যবসায়ীরা

ফাইল ছবি

রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকের পর সিরামিক খাতের ব্যবসায়ীরা শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে টাকা চেয়েছেন। তাঁরা বলছেন, চলমান লকডাউনের কারণে সিরামিক পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো স্থানীয় ও রপ্তানি বাজারে বিক্রি না হওয়ায় শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সংকট তৈরি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রীকে এক চিঠিতে শ্রমিক-কর্মচারীদের চার মাসের বেতন-ভাতা ও আগামী দুই ঈদের বোনাস দেওয়ার জন্য গতবারের মতো ২ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়াসহ চারটি দাবি জানান। চিঠির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সিরামিক খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠনটির অন্য তিনটি দাবি হচ্ছে সিরামিক খাতের প্রতিষ্ঠানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা সব ধরনের ঋণের সুদ আগামী এক বছরের জন্য মওকুফ করা; আগামী এক বছর পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয় নির্বাহে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে বিনা জামানতে ২ শতাংশ সুদে অর্থায়ন এবং সিরামিক কারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল পরিশোধ আগামী এক বছর পর্যন্ত মুলতবি রাখা।

বিসিএমইএর সভাপতি তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেন, প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৬৮টি সিরামিক কারখানা গড়ে উঠেছে। টেবিলওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যার উৎপাদনের এসব প্রতিষ্ঠানে প্রত্যক্ষভাবে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সিরামিক খাতের কোম্পানিগুলো বছরে ৪০০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করে। তা ছাড়া ৬ হাজার কোটি টাকার স্থানীয় বাজারের ৯০ শতাংশ দেশীয় প্রতিষ্ঠানের দখলে।

অর্থমন্ত্রীর কাছে সিরাজুল ইসলাম মোল্লা দাবি করেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অন্যান্য খাতের মতো সম্ভাবনাময় সিরামিকশিল্পে বিপর্যয় নেমে এসেছে। সরকারি আদেশ অনুযায়ী, কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে কোম্পানিগুলোর স্থানীয় ও রপ্তানি বাজারে বিক্রি না হওয়ায় শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সংকট তৈরি হচ্ছে।